পরিবেশবান্ধব গাড়ির বীমা খরচ কমাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট: কার্বন নি:সরণ কমাতে পরিবেশবান্ধব গাড়ির বীমা খরচ আরো অল্পের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই লক্ষ্যে বৈদ্যতিক গাড়ির জন্য নতুন বীমা প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। আগামী সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ নতুন এই বীমা প্রকল্পের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ ধরণের পরিকল্পনাকে আরো এগিয়ে নিতে কোরিয়া ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে দেশটির বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কমিশন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ানহাপ সংবাদ সংস্থা সম্প্রতি এসব তথ্য জানিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বীমা হার নির্ধারণসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বাজার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউটকে দায়িত্ব দেয়া হবে। এছাড়া প্রাসঙ্গিক পরিসংখ্যান প্রদান ও সংঘর্ষের পরীক্ষা পরিচালনার প্রস্তুতি নিতে গাড়ি প্রস্তুতকারকদের নির্দেশ দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, আগামী জুনের মধ্যে ঝুঁকি মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে এবং জুলাই নাগাদ বহির্বিশ্বের ঘটনা পর্যালোচনাও শেষ করা হবে। আর সেপ্টেম্বরের মধ্যে পণ্য বাজারে ছাড়তে সরকার বীমা কোম্পানীগুলোর সঙ্গে দাবি নিষ্পত্তির বিস্তারিত সমন্বয় সাধণ করবে। এছাড়া প্রকল্পটির জন্য একটি যৌথ পরামর্শদায়ক কমিটি গঠন ও পরিচালনা করতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার স্থানীয় গাড়ি প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে একমত হয়েছে বলেও জানা গেছে। ব্যয়বহুল ব্যাটারির কারণে বর্তমানে বৈদ্যতিক গাড়ি ব্যবহারকারিদেরকে ৪ লাখ ওয়ান বা ৩৩৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বেশি প্রিমিয়াম ব্যয় করতে হয়। তবে নতুন বীমা প্রকল্পের কারণে এই খরচ কমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, কার্বন নি:সরণ কমাতে ২০২০ সাল নাগাদ দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাপকভাবে পরিবেশবান্ধব গাড়ি বৃদ্ধির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। চলতি বছর থেকে শুরু করে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে হাইব্রিড ও বৈদ্যতিক যানবাহনের মতো ‘গ্রিন কার’র সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে ৯ লাখ ২০ হাজারে উন্নিত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। সম্পূর্ণভাবে কার্বন নিঃসরণ মুক্ত এসব ইলেকট্রিক কার দ্রুত গতিতে এবং নিঃশব্দে চালানো যায়। তবে পরিবেশবান্ধব এসব গাড়ি একবার চার্জ করে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যায়৷ এয়ার কন্ডিশনিং চালালে আরো কম৷ রেঞ্জ কম হওয়াটা ইলেক্ট্রিক কারের মূল সমস্যা বলে জানিয়েছেন এসব গাড়ির নির্মাতারা৷