ইন্দোনেশিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার বীমা বাজারে বিপুল সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স। ক্রমেই এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বর্তমানে দেশটির গ্রস রিটেন প্রিমিয়ামের (জিডব্লিউপি) ৬.২ শতাংশ তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স। এর আগে ২০১০ সালের শেষ নাগাদ এর পরিমাণ ছিল ২.৬ শতাংশ। সম্প্রতি ফিচ রেটিংস এর প্রতিবেদনে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। “ইন্দোনেশিয়া তাকাফুল ড্যাশবোর্ড” শীর্ষক প্রতিবেদনে দেশটির বীমা বাজারে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সকে অপার সম্ভাবনাময় বলে গুরুত্বারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক র‌্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ফিচ রেটিংস। যদিও সমগ্র ইন্দোনেশিয় বীমা বাজারের তুলনায় মোট তাকাফুল এবং রিতাকাফুল গ্রস প্রিমিয়াম কম রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বীমা আইন অনুসারে ২০১৪ সালে প্রবর্তিত বাধ্যতামূলক আনুষাঙ্গিক প্রবিধানের ধারাবাহিকতায় দেশটির শরিয়া বীমা শিল্পের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাশা করছে ফিচ রেটিং। ওই আইনে নির্দিষ্ট অবস্থার অধীনে প্রচলিত বীমা এবং পুনর্বীমাকরণ সংস্থাগুলোর শরিয়া বিভাগের আনুষাঙ্গিক প্রবিধানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুইশ’ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ার ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো তাদের তাকাফুল ব্যবসার উন্নতি সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এছাড়া ধীরে ধীরে তাদের ক্ষমতা এবং মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিপক্বতা অর্জন করে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সকে স্বাধীন ব্যবসায় পরিণত করার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। ফিচ রেটিংস মনে করে, কোন বাজার একত্রিকরণ ধীরে ধীরে হওয়াই প্রত্যাশিত। তাকাফুল ইউনিট পুরোমাত্রায় উন্নয়ন সাধন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তৃক কোম্পানিগুলোকে শর্তারোপ এবং পর্যাপ্ত সময় বেধে দেয়া প্রয়োজন বলেও মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।