সাইবার বীমায় ঝুঁকি ও প্রিমিয়াম হার বিবেচনার সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাইবার বীমার জন্য ঝুঁকি ও প্রিমিয়াম হার বিবেচনার সুপারিশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর শাহা। সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় বুধবার বিকালে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ সুপারিশ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শুভংকর শাহা বলেন, উন্নত বিশ্বে সাইবার ঝুঁকির আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যাংকগুলো বীমা সুবিধা নিয়ে থাকে। দেশগুলোতে সাইবার ক্রাইম করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। সেই তুলানায় আমাদের দেশে সাইবার ক্রাইম সবে মাত্র শুরু।
তাই দেশের সাইবার ক্রাইম মোকাবেলায় বীমা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রিমিয়াম হার ও ঝুঁকির অনুপাত বিবেচনা করতে হবে। কেননা সাইবার বীমায় প্রিমিয়াম হার খুব বেশি। ঝুঁকির তুলনায় প্রিমিয়ামের পরিমাণ বেশি হলে তা গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা নয়।
শুভংকর শাহা আরো বলেন, এটিএম প্রযুক্তিটাকে আরো শক্তিশালী করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময় করা হবে। প্রয়োজনে উন্নত বিশ্ব সাইবার ক্রাইম মোকাবেলায় যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে আমাদের সেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এটিএম কার্ড জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। এর পরপরই ব্যাংকগুলোকে সব এটিএম বুথ একযোগে বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আজকের মিটিংয়ে ব্যাংকগুলোকে এক মাসের মধ্যে এন্টি স্কিমিং মেশিন বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ট্রানজেকশন বন্ধ হবে না।
এটিএম কার্ড জালিয়াতি রোধে করণীয় বিষয়ক ওই মিটিংয় শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মুখপাত্র জানান, দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের নামে ৯০ লাখের বেশি এটিএম কার্ড ইস্যু করা আছে। অন্যদিকে দেশজুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় সাত হাজার পাঁচশ এটিএম বুথ রয়েছে।
এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) কার্ড জালিয়াতির ওই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৬ জন গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতি চক্র। ওইসব গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে নেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত জড়িতদের সনাক্ত করা যায়নি বলে জানান শুভংকর শাহা।