লাইফ বীমায় নতুন ব্যবসা বেড়েছে ৪.২৮ শতাংশ: শীর্ষে ফারইষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদায়ী বছরে দেশের সরকারি-বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বেসরকারি বীমা কোম্পানি ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রাইম ইসলামী লাইফ। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে দাখিল করা কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৫ সালে দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩১টি বীমা কোম্পানি নতুন পলিসি বিক্রি থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২ হাজার ৫৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের বছরে তা ছিল ১ হাজার ৯৬৮ কোটি ৮৭ লাখ। আগের বছরের তুলনায় নতুন পলিসি বিক্রি থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ বৃদ্ধি পায় ৮৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে। নতুন বা প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফের পরে শীর্ষ দশে থাকা কোম্পানীগুলো হলো- প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটির নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বাড়ে ৭২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৫৯৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা ২০১৪ তে ছিল ৫৮৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৫ তে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৮৪৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যা এর আগের বছরে ছিল ৭৬৮ কোটি ৫৫ লাখ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ বাড়ে ৮১ কোটি ১ লাখ টাকা। ব্যবসা সংগ্রহের শীর্ষ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৯২ কোটি টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ৬২ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ হিসাবে বিদায়ী বছরে প্রিমিয়াম সংগ্রহ বাড়ে ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা ২০১৪ সালে ছিল ১৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর কোম্পানিটি ২০১৫ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর আগের বছরে যা ছিল ২২৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বেড়েছে ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।  কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ৯৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদায় বছরে বেড়েছে ২৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৭৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে যা ছিল ৬৭ কোটি ৭৯ লাখ। বেড়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৯৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর আগের বছরে ছিল ১৬৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্র্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রিমিয়াম সংগ্রহের শীর্ষ তালিকায় চতুর্থ অস্থানে রয়েছে রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৮০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা।  বেড়েছে ২০ কোটি ১১ লাখ টাকা। একইসঙ্গে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১১০ কোটি ১২ লাখ টাকা। যা ২০১৪ তে ছিল ১১৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আর ২০১৫ সালে কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৯০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ১৭৫ কোটি ২৬ লাখ লাখ টাকা।  বেড়েছে ১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। পঞ্চম স্থানে রয়েছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৬১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সংগ্রহ বেড়েছে ৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৫০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে যা ছিল ৫০১ কোটি। বেড়েছে ৩০ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৬৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের বছরে যা ছিল ৬৬২ কোটি ৫৪ লাখ লাখ টাকা। বেড়েছে ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ষষ্ঠ অস্থানে রয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৪৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর ২০১৪ সালে সংগ্রহ করে ১৩৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে বেড়েছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। একইসঙ্গে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৪১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে যার পরিমাণ ছিল ৪০৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বেড়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৫৫৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের বছরে যা ছিল ৫৪৪ কোটি ৪৩ লাখ। বেড়েছে ১০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। শীর্ষদের তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদায়ী বছরে সংগ্রহ বেড়েছে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।  অন্যদিকে ২০১৫ সালে কোম্পানিটি নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৯২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৮৪ কোটি ৪৮ লাখ। বেড়েছে ৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর আগের বছরে সংগ্রহ করে ১৪৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বেড়েছে ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অষ্টম অস্থানে রয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে এই সংগ্রহ ছিল ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।  বেড়েছে ৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। একইসঙ্গে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ২০ লাখ টাকা।  বছর ব্যবধানে বেড়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের বছরে সংগ্রহ করে ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। বেড়েছে ৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ব্যবসা সংগ্রহের শীর্ষ তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।  যা ২০১৪ তে ছিল ১৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদায়ী বছরে সংগ্রহ বেড়েছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।  অন্যদিকে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আর ২০১৪ সালে ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে।  অর্থাৎ বেড়েছে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা।  ২০১৫ সালে কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর আগের বছরে ছিল ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যা বছর ব্যবধানে বেড়েছে ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। দশম স্থানে রয়েছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর ২০১৪ সালে সংগ্রহ করে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদায়ী বছরে বেড়েছে ৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০১৫ সালে কোম্পানিটি নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৩০ লাখ টাকা। গার্ডিয়ান লাইফের পরের অবস্থানেই রয়েছে ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।  অর্থাৎ বেড়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর ২০১৫ সালে কোম্পানিটি সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৭৩ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর ২০১৪ সালে সংগ্রহ করে ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদায়ী বছরে সংগ্রহ বেড়েছে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৯১ লাখ টাকা। ট্রাস্ট ইসলামি লাইফের পরের অবস্থানে রয়েছে বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। সংগ্রহ বেড়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অন্যদিকে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা ২০১৪ তে ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ বেড়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের বছরে যা ছিল ১৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।  অর্থাৎ বেড়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মার্কেন্টাইল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে যা ছিল ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিদায়ী বছরে সংগ্রহ বেড়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০১৫ সালে কোম্পানিটি নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৫৫ লাখ টাকা। যা ২০১৪তে ছিল ৫০ লাখ টাকা। বেড়েছে ৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৫ মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।  বেড়েছে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। মার্কেন্টাইলের পরের অবস্থানে রয়েছে প্রোগ্রেসিপ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে যে সংগ্রহ ছিল ২২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে বেড়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। একইসঙ্গে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৬৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে সংগ্রহ ছিল ৫৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৮৮ কোটি ৫ লাখ টাকা।  আগের বছরে যা ছিল ৮০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।  বেড়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে বেড়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। একইসঙ্গে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৮১ লাখ টাকা। আলফা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আর ২০১৪ সালে সংগ্রহ করে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সংগ্রহ বেড়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে নতুন এই বীমা কোম্পানি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৭০ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর ২০১৪ সালে সংগ্রহ করে ৯২ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদায়ী বছরে সংগ্রহ বেড়েছে ৮৪ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৩০ লাখ টাকা। হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বেড়েছে ৭২ লাখ টাকা। একইসঙ্গে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১০৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে যা ছিল ১০৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বেড়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আর কোম্পানিটি ২০১৫ মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ১৩৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। বেড়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২০৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে যা ছিল ২০৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম কমেছে ৬১ লাখ টাকা। অন্যদিকে কোম্পানিটি ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৫৭৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।২০১৪ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বেড়েছে ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আর কোম্পানিটি ২০১৫ মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৭৮১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের বছরে যা ছিল ৭৬৪ কোটি ৫ লাখ টাকা।অর্থাৎ বেড়েছে ১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।