নতুন পুরনো সব কোম্পানিকে ক্ষুদ্রবীমার অনুমতি দিতে হবে: ইউসুফ আলী মৃধা

বাংলাদেশের ক্ষুদ্রবীমার সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে বিশেষ আয়োজন করেছে দেশের প্রথম এবং একমাত্র বীমা ভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি। বিশেষ আয়োজনের এ পর্বে থাকছে ক্ষুদ্রবীমার ওপর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের অভিমত। প্রোটেক্টিভ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইউসুফ আলী মৃধা’র এই অভিমত নিয়েছেন আবদুর রহমান। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য অভিমতটি তুলে ধরা হলো: প্রোটেক্টিভ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী মৃধা বলেন, শুধু ম্যাক্রোইন্স্যুরেন্স নয়, মাইক্রোইন্স্যুরেন্স বা ক্ষুদ্রবীমাও জরুরি। ক্ষুদ্রবীমা ছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভবপর নয়। তাই ক্ষুদ্রবীমাকে পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ ১৬ কোটি মানুষকেই ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আনতে হবে। ২০০০ সালের দিকে ক্ষুদ্রবীমার প্রতি মানুষের যে আগ্রহ ছিল বর্তমানে তা কিছুটা কমে গেছে। ক্ষুদ্রবীমার প্রতি বর্তমানে মানুষের বিরুপ প্রতিক্রিয়া আছে। তবে এ অবস্থা দূর করতে হবে। এ জন্য সবাকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যাংকের ডিপিএস’র মতো ক্ষুদ্রবীমাকে ডিপিএস প্রকল্প নামকরণ করতে পারলে সবাই এগিয়ে আসতো। আরো ভালো সারা পাওয়া যেতো। তাছাড়া ক্ষুদ্রবীমার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে হলে বীমা কোম্পানিগুলোর এজেন্টদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, তাদের ভুল বোঝানের কারণে এ ব্যাপারে মানুষের বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তাই সব কোম্পানিতে ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট থাকতে হবে। কিছু কোম্পানি ক্ষুদ্রবীমার গ্রাহককে মুনাফা দিতে পারছে না। তবে অনেক কোম্পানি এখনো ভালো মুনাফা দিতে পারছে। কোম্পানির ওপর নির্ভর করছে ক্ষুদ্রবীমার মুনাফা। পুরনো কোম্পানিগুলো যদি ক্ষুদ্রবীমা ব্যবসা করতে পারে তাহলে নতুন কোম্পানিগুলো কেন করতে পারবে না। হয় নতুন পুরনো সব কোম্পানিকে ক্ষুদ্রবীমা ব্যবসার অনুমতি দিতে হবে। অন্যথায় পুরনোদেরও ক্ষুদ্রবীমা ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সব কোম্পানিকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। প্রতিটি লোককে বীমার আওতায় আনতে হবে। এ জন্য সরকারকে আরো এগিয়ে আসতে হবে। ১৬ কোটি মানুষকে বীমার আওতায় আনতে আরো প্রকল্প হাতে নিতে হবে। আমি বলেছিলাম, প্রয়োজনে সরকারি কোন প্রকল্পে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হোক। আমি সারাদেশে বীমাকে ছড়িতে দিতে কাজ করবো। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে ইউসুফ আলী মৃধা জানান, ক্ষুদ্রবীমার ওপর তার কোন প্রশিক্ষণ বা পড়ালেখা নেই। তবে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে অ্যাকাউন্ট ফাইন্যান্সে দায়িত্ব পালন করায় এ বিষয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাছাড়া ক্ষুদ্রবীমা নিয়ে দেশের বাইরে কোন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়ার সৌভাগ্য তার হয়নি। তবে জার্মানিতে থাকা অবস্থায় দেখেছি কুকুর-বিড়ালেরও বীমা করা থাকে। তাদের কুকুর-বিড়ালের যদি বীমা করা থাকে তাহলে আমাদের দেশের মানুষের কেন বীমা থাকবে না। মৃধা বলেন, আমার কোম্পানিতে ক্ষুদ্রবীমার অনুমোদন না থাকায় অন্যভাবে আমরা ব্যবসা করে যাচ্ছি। আমাদের এ ব্যবসা সফল হয়েছে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে যাই। একদিন সফলতা আসবেই। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।