ডেস্ক রিপোর্ট:
মিয়ানমারের বীমা খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদার করতে যাচ্ছে জাপান। দেশটির বীমা খাতের দেখভালের জন্য সম্প্রতি চালু করা ফিনান্সিয়াল রেগুলেটরি ডিপার্টমেন্টকে (এফআরডি) দক্ষ কর্মকর্তা দিয়ে সহযোগিতা করবে জাপানের এফএসএ । এসব কর্মকর্তা মিয়ানমারের এফআরডি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থায় বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা শেয়ার করবে। জাপানি বীমা কোম্পানিগুলোও ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্সি বা এফএসএ’র সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।
মিয়ানমারের উচ্চ অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে সহযোগিতা করতে জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা নিয়ে দেশটিতে কাজ করে যাচ্ছে জাপানের ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্সি। এফএসএ বিশ্বাস করে আগামীতে অং সান সু কি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরও দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী একইভাবে উন্মুক্ত রাখবে।
এরইমধ্যে কিছু জাপানি কোম্পানি বীমা পণ্যের উন্নয়নে মিয়ানমারে তাদের কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতার প্রস্তাব করেছে। গত জুলাই মাসে মিয়ানমারের স্থানীয় একটি কোম্পানি মৃত্যু দাবির সুবিধাসহ দেশের প্রথম স্বাস্থ্য বীমা পণ্য বাজারে ছাড়ার পর অক্টোবরের শেষ নাগাদ মাত্র চার মাসে ১০৫৫টি বীমা চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছে।
তাইয়ো লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সহযোগিতায় মিয়ানমারের স্থানীয় বীমা কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের মান উন্নয়ন করছে। ২০১২ সালের এপ্রিলে দেশটির জীবন বীমা খাতের প্রথম বিদেশি কোম্পানি হিসেবে তাইয়ো লাইফ তাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু করে।
মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানকালে তাইয়ো লাইফ প্রথম বিদেশি বীমা কোম্পানি হিসেবে জুলাই মাসে দেশটির শীর্ষ পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি লাভ করে। এসময় কোম্পানিটি তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতো। এসব তথ্য মূল্যায়নের পর চুক্তির ভিত্তিতে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরামর্শ আকারে প্রদান করতো।
এরইমধ্যে জাপানের তিনটি প্রধান সাধারণ বীমা কোম্পানি- টোকিও মেরিন অ্যান্ড নিচিডো ফায়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, সম্পো জাপান নিপ্পনকোয়া ইন্স্যুরেন্স এবং মিতসুই সুমিতমো ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রথম বিদেশি কোম্পানি হিসেবে মিয়ানমারে ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। কোম্পানিগুলো ইয়াঙ্গুন শহরের প্রান্তদেশে অবস্থিত থিলাওয়া বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন পরিচালনার জন্য ফায়ার এবং মেরিন ইন্স্যুরেন্স সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে।
৫২ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ মিয়ানমারে স্থানীয় মুদ্রায় ৪.৮ বিলিয়ন বা ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বীমা বাজার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরোপিয়ান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বীমা কোম্পানিগুলোও দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে বীমা ব্যবসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।