গ্রাহকদের ৭৪% দাবি দেয়নি ন্যাশনাল লাইফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহকদের উত্থাপিত দাবির ৭৪ শতাংশ বকেয়া রেখেছে দেশের বেসরকারি খাতের বীমা কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। চলতি বছরের মে থেকে জুলাই এই তিন মাস পর্যন্ত ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে মোট ২ হাজার ৪২৭টি দাবি উত্থাপন করে গ্রাহকরা। এরমধ্যে মাত্র ৬২৩টি দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। আর দাবি বকেয়া রেখেছে ১ হাজার ৮০৪টি। অর্থাৎ কোম্পানিটি গ্রাহকদের দাবি শতকরা ৭৪.৩৩% বকেয়া রেখেছে। অন্যদিকে একই সময়ে কোম্পানিটি দাবি পরিশোধ করেছে মাত্র ২৫.৬৬%। এদিকে একক মাস হিসেবে জুলাই মাসে সবচেয়ে কম দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিটি। ওই মাসে পরিশোধযোগ্য ৬৭২টি দাবির মধ্যে মাত্র ৫৩টি বা ৭.৮৮% দাবি পরিশোধ করে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দাবি পরিশোধ করে জুন মাসে। এ সময় কোম্পানিটি গ্রাহকদের উত্থাপিত দাবির ৩৮.৩২% পরিশোধ করে। সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে পাঠানো কোম্পানিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি বছরের মে থেকে জুলাই ৩ মাসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সে চলতি বছরের উল্লেখিত তিন মাসে দাবি পরিশোধের হার গড়ে ২৫.৬৬%। আর অপরিশোধিত দাবির হার ৭৪.৩৩%। এপ্রিল মাস শেষে কোম্পানিটির বকেয়া দাবি ছিলো ৬৭৮টি। এর সঙ্গে মে মাসে নতুন দাবি আসে ২২৯টি। ফলে মে মাস শেষে মোট পরিশোধযোগ্য দাবি দাঁড়ায় ৯০৭টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ২৪৫টি, যা ২৭.০১%। আর অপরিশোধিত থাকে ৬৬২টি, যা ৭২.৯৮%। আর জুনে নতুন দাবি আসে ১৮৬টি। ফলে জুন মাস শেষে মোট পরিশোধযোগ্য দাবি দাঁড়ায় ৮৪৮টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে ৩২৫টি বা ৩৮.৩২%, আর দাবি বকেয়া রাখে ৫২৩টি বা ৬১.৬৭%। আর সর্বশেষ জুলাই মাসে নতুন দাবি আসে ১৪৯টি। ফলে মোট পরিশোধযোগ্য দাবি দাঁড়ায় ৬৭২টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ৫৩টি বা ৭.৮৮% আর বকেয়া রেখেছে ৬১৯টি, যা ৯২.১১%। এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল এমএ নাসের বলেন, আমার মতে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স তার সকল গ্রাহকদের দাবি নিয়মিত পরিশোধ করছে। এর জন্য আলাদা বিভাগও রয়েছে। আপনারা যে ৩ মাসের হিসাব দিচ্ছেন তা সঠিক নাও হতে পারে। তাছাড়া শুধু ৩ মাসের হিসাব দেখলে চলবে না, বাকি মাসগুলোর হিসাবও দেখতে হবে। তিনি আরো বলেন, আপনাদের দৃষ্টিতে এটা যদি নিউজ করার মতো মনে হয় তাহলে করেন। এতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। কারণ, আমরা ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাচ্ছি বলেও মন্তব্য করেন জামাল এমএ নাসের।