বার্ধক্যজনিত বীমা প্রসারিত করছে চীন

দেশের সব মানুষের জন্যবার্ধক্যজনিত বীমা প্রসারিত করতে যাচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিধর দেশ চীন। একইসঙ্গে বীমা কাভারেজ উন্নত করতে রাষ্ট্রীয় তহবিল বিনিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। উন্নয়ন সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ দেশের নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করার পাশাপাশি এবং খরচ বাড়াতে পারে। চীন কেন্দ্রীয় কমিটির ১৮তম কমিউনিস্ট পার্টির পঞ্চম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শেষে দলের পক্ষ থেকে দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল বাড়াতে রাষ্ট্রীয় মূলধন ব্যবহার করা হবে। চীন সরকার বলছে, গত মার্চ মাসে দেশটির প্রায় ২০০ মিলিয়ন নাগরিক বার্ধক্যজনিত পেনশন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। চীন গুরুতর অসুস্থতা বীমা পদ্ধতিও পূর্ণ মাত্রায় বাস্তবায়ন করবে। বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীনের বর্তমান ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির চার দিনব্যাপী ওই অধিবেশনে আলোচিত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে বার্ধক্যজনিত বীমা বৃদ্ধির বিষয়টিও ছিল। নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে প্রধান ছিল চীনা দম্পত্তিদের দু’টি সন্তান গ্রহণের ব্যপারে সম্মতি প্রদান। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে দুই সন্তান নিতে পারবেন চীনের দম্পতিরা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতি চালু করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই নীতি পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করে আসছিল চীনের নাগরিক ও সমাজকর্মীরা। ধারণা করা হয়, চীনের এক সন্তান নীতির কারণে দেশটিতে অন্তত ৪০ কোটি জন্ম নিরোধ করা গেছে। এর ফলে চীনে বয়স্ক ও অকর্মণ্য মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া নারী ও পুরুষের অনুপাতও বিপজ্জনক হারে কমেছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ২০১৩ সাল থেকে দুই সন্তান নীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলে আসছিল চীন সরকার। এর আগে মনে করা হতো, এক সন্তানের নীতি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্যই চীন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে।