তাইওয়ানে সাড়া ফেলেছে মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা

সফলতার পথে এগিয়ে চলছে তাইওয়ানের মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এ ব্যবসা। চলতি বছরের শেষ নাগাদ দেশটিতে মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স পলিসির সংখ্যা দাঁড়াবে ২০০০০-এ। নিম্ন আয়ের নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা দিতে তাইওয়ান সরকারের বেধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স পলিসির এই সংখ্যা সঙ্গতিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ফিনান্সিয়াল সুপারভাইজরি কমিশনের (এফএসসি) চেয়ারম্যান তেন মিং-চুং। তিনি বলেছেন, সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত দেশের অনগ্রসর নাগরিকদের সহযোগিতার উপায় হিসেবে সরকার মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স ব্যবসাকে আরো উন্নয়নের চেষ্টা করছে। তবে সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ খাতে পর্যাপ্ত আর্থিক সম্পদ বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি। মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স কেনার জন্য অনগ্রসর পরিবার এবং ওয়েলফেয়ার গ্রুপগুলোকে এ বছর পর্যন্ত ২৪ মিলিয়ন নিউ তাইওয়ান (এনটি) ডলার অর্থাৎ ৭ লাখ ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে তাইওয়ানে পরিচালিত ২৩টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। তেন এর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির কেন্দ্রিয় সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। এফএসসি জানিয়েছে, ২০০৯ সালের নভেম্বরে তাইওয়ানে মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত পলিসির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০টিতে, যার মোট মূল্যমান সাড়ে ৬ বিলিয়ন নিউ তাইওয়ান ডলার। তাইওয়ানের শীর্ষ আর্থিক পরিচালক জানিয়েছেন, গত দু’বছরে ১ লাখ ৩০ হাজার এবং প্রথম চার বছরে ৫৩ হাজার পলিসি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার অগ্রগতির জন্য চালানো নিবিড় প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এফএসসি প্রবিধান অনুসারে, এককভাবে যার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজারের কম এবং যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় ৫ লাখের কম তারাই কেবল মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স পলিসি কেনার যোগ্য। এছাড়াও আদিবাসী জনগণ, কৃষক, জেলে এবং যেসব পরিবারে কেউ প্রতিবন্ধী আছে তারাও এই ইন্স্যুরেন্স কেনার যোগ্য। নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য বার্ষিক প্রিমিয়াম ৩শ’ নিউ তাইওয়ান ডলার, যা পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য ৫ লাখ নিউ তাইওয়ান ডলার পর্যন্ত কাভারেজ দেয় বলে এফএসসি প্রবিধানে বলা হয়েছে। দেশের বয়স্ক নাগরিকদের সুবিধা দিতে মাইক্রো ইন্স্যুরেন্সের অগ্রগতির জন্য সরকার পেনশন বীমা এবং দীর্ঘ মেয়াদী স্বাস্থ্যবীমার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান ফিনান্সিয়াল সুপারভাইজরি কমিশনের চেয়ারম্যান তেন।