ডিপোজিট বীমা প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া। ব্যাংক গ্রাহকদের আমানত রক্ষা করার জন্য এ ধরণের প্রকল্প বেশ প্রয়োজন বলেই মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যখন কোন ব্যাংক তার গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থ ফেরত দিতে সক্ষম হবে না অর্থাৎ ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, তখন এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের অর্থ পরিশোধ করা হবে।
সেন্ট্রাল ব্যাংকের অধীন পৃথকভাবে পরিচালিত হবে এই ডিপোজিট বীমা। কম্বোডিয়ায় লাইসেন্সধারী সব বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং মাইক্রোফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানের জন্য এ প্রকল্পে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক হবে। তবে কেবল প্রকৃত ডিপোজিটগুলো এই বীমার আওতায় আসবে।
সম্প্রতি কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং সম্মেলনে পেশ করা একটি প্রস্তাবনাকে ঘিরে এই ডিপোজিট বীমা প্রকল্পের আলোচনার সূত্রপাত হয়। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ন্যাশনাল ব্যাংক অব কম্বোডিয়া (এনবিসি)’ ওই সম্মেলনের আয়োজন করে।
এসোসিয়েন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান বা আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার বাদে এটিই একমাত্র দেশ যারা এখন পর্যন্ত ব্যাংক ডিপোজিট বীমা চালু করেনি। আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ হলো- ব্রুনেই, কম্পোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
মেকং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার্স এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার স্টিফেন হিগিন্স বলেছেন, ব্যাংকের দেউলিয়াজনিত ক্ষতি থেকে গ্রাহকদের আমানত রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা প্রবর্তনকারী ১২২ দেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এটিই সময়।
নম পেন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের ব্যাংকিং সেক্টর কম্বোডিয়ার ব্যাংকিং সেক্টরের চেয়ে ১০ বছর পিছিয়ে। সুতরাং ওই দেশের সঙ্গে আমাদের তুলনা করা উচিত নয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের আদলে একটি জাতীয় ডিপোজিট বীমা প্রকল্প চালুর প্রস্তাব করেছেন হিগিন্স। যেটা ব্যাংক ও মাইক্রোফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নামমাত্র করা আরোপ করে বীমার ফান্ড গঠন করবে এবং সেটা দিয়ে গ্রাহকদের আমানতের অর্থ পরিশোধ করবে।
ন্যাশনাল ব্যাংক অব কম্বোডিয়া’র মহাপরিচালক চি সিরেই বলেছেন, ডিপোজিট বীমা প্রকল্পটি নিয়ে কেন্দ্রিয় ব্যাংক পর্যালোচনা এবং বিবেচনা করবে।