পরিবর্তন আসছে মিশরের বীমা ব্যবসায়। কার্যকর হতে যাচ্ছে নতুন বীমা আইন। এরইমধ্যে সেই আইনের খসড়া পর্যালোচনা শুরু করেছে ইজিপশিয়ান ফিনানসিয়াল সুপারভাইজরি অথোরিটি (ইফসা) ।
নতুন এ বিধি কার্যকর হলে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর সর্বনিম্ন মূলধন থাকতে হবে ১২০ থেকে ১৫০ মিলিয়ন মিশরীয় পাউন্ড বা ৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে যার পরিমাণ ৬০ মিলিয়ন মিশরীয় পাউন্ড।
ইজিপশিয়ান ফিনানসিয়াল সুপারভাইজরি অথোরিটির চেয়ারম্যান ড. শেরিফ সামি দেশটির আল মাল পত্রিকাকে জানিয়েছেন, খসড়া আইনটি আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে সরকার ও স্টেট কাউন্সিলে পাঠানো হবে।
ড. শেরিফ আরো বলেন, সর্বনিম্ন মূলধনের নতুন এই বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য বীমা কোম্পানিগুলোকে একটি অন্তর্বর্তী সময়কাল দেয়া হবে। মাইক্রোফিন্যান্স পণ্যগুলো বিতরণ করতে এই খসড়া আইন মাইক্রোফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরবরাহ করা হবে বলেও জানান ড. শেরিফ।
দেশের বেশিরভাগ জনগণের জন্য বীমায় প্রবেশাধিকার সহজ করতে ইফসা সক্রিয়ভাবে মাইক্রোফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করছে। সরকারি এক তথ্য মতে, দেশটির ৪০ শতাংশ মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে।
মিশরের ৯৭% মানুষ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিসেবে ১০ জনেরও কম স্মল এন্টারপ্রাইজ ব্যবসায় নিয়োজিত। গত বছর প্রকাশিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান সিএপিএমএএস’র ২০১২/১৩ সালের আদমশুমারিতে এ তথ্য মিলেছে।
নতুন বীমা আইন আলাদাভাবে হেলথ লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেবে। তবে সর্বনিম্ন মূলধনের শর্ত থাকবে ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন মিশরীয় পাউন্ড। ইফসা’র তথ্যানুসারে, সর্বশেষ গত ২০০৮ সালে বীমা আইন সংশোধন করা হয়েছে।