ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যবীমায় নতুন চমক

নতুন চমক দেখাতে জাতীয় স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্পের তহবিল বাড়ানোর প্রচেষ্টা করছে ইন্দোনেশিয়া। বছর শেষে কি পরিমাণ প্রিমিয়াম বাড়াতে পারবে দেশটির সরকারের নজর এখন সেদিকেই। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। বিশ্বের বৃহত্তম এই জাতীয় স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প গত বছর ৩.৩ ট্রিলিয়ন রূপিয়া বা ২৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছিল। আর চলতি বছরে সেই ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.৫ ট্রিলিয়ন রূপিয়ায় দাঁড়িয়েছিল বলে আনুমানিক হিসাব দেখিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির সরকার ২৫০ মিলিয়ন নাগরিককে সেফটি নেট বা নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা তাদেরকে দুর্দিনে জরুরি চিকিৎসার জন্য অর্থ সংরক্ষণের পরিবর্তে আরো অবাধে ব্যয় করতে উৎসাহিত করবে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। আগামী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারির পর এই প্রকল্পে তালিকাভুক্তিবাধ্যতামূলকহয়ে যাবে। সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার জন্য আরো বেশি রোগীকে মাসে ১.৭০ ডলার থেকে ৪.১০ ডলার পর্যন্ত অনিয়মিত নামমাত্র প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে নিবন্ধন করানোয় ঘাটতি দ্রুত বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুসারে দেশে গড় মাথাপিছু আয় সাড়ে ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে মাত্র। লাখ লাখ মিলিয়ন ইন্দোনেশিয়ান এখনো স্বাস্থ্যবীমা ছাড়াই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ ফিন্যান্সিং অ্যান্ড হেলথ সিকিউরিটির পরিচালক ডোনাল্ড পারডিড জানিয়েছেন, পূর্বে নতুন বীমাকৃত অনেক ইন্দোনেশিয়ান প্রার্থনা করতে বাড়িতে যাওয়ার চেয়ে গুরুতর শারীরিক রোগ নির্ণয়ের জন্য তাদের কোন সাড়া ছিল না। কিন্তু এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, তাদের চিকিৎসা সেবা নেয়ার সামথ্য হয়েছে বলেও জানান ডোনাল্ড। জাতীয় স্বাস্থ্যবীমা কর্মসূচি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত চেকআপ এবং প্রসূতি সেবা থেকে শুরু করে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসাসহ সব ধরণের সেবা প্রদান করে। সরকারি এ প্রকল্পের জন্য গত বছর পরিচালিত একটি স্বাধীন জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৮১% নাগরিক জাতীয় স্বাস্থ্যবীমার চিকিৎসা সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে।