লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ৮৬% দাবি অপরিশোধিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহকের বীমা দাবির বেশির ভাগই পরিশোধ করছে না বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। পরিশোধ না করার এ হার ৮৬%। দাবি পরিশোধ না করার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির দাবি পরিশোধের হার ৩.৭৫%। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির দাবি পরিশোধের হার ৪.৮৬%। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত তিন মাসে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে কোম্পানিগুলোর পাঠানো বীমা দাবি সংক্রান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র মতে, বীমা গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ নিশ্চিত করার উদ্যোগ হিসেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে নির্ধারিত ছক অনুসারে বীমা দাবি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠায়। এ প্রেক্ষিতে দেশের ৩১টি লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে আইডিআরএর কাছে ২১টি কোম্পানি দাবি সংক্রান্ত তথ্য দেয়। আর বাকি ১০টি কোম্পানি কোনো তথ্য দেয়নি। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত তিন মাসে ২১টি লাইফ বীমা কোম্পানির দাবি পরিশোধের হার গড়ে ১৩.৭৩%। দাবি অপরিশোধের হার গড়ে ৮৬.২৭%। আলোচ্য সময়ে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোতে দাবি উত্থাপিত হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৮১১টি। এর মধ্যে ৯২ হাজার ৪০৬টি দাবি পরিশোধ করেছে। দাবি অপরিশোধিত রেখেছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৯৯টি। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিগুলো দাবি পরিশোধ করেছে ৩৬ হাজার ২টি। যা উত্থাপিত দাবির ১৭.৬৭%। আর পেন্ডিং রেখেছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৫১টি। যা ৮২.১৭%। ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিগুলো দাবি পরিশোধ করেছে ২৯ হাজার ৭৫টি। যা উত্থাপিত দাবির ১২.৮৯%। আর অপরিশোধিত রেখেছে এক লাখ ৯১ হাজার ৪৬০টি। যা ৮৪.১৯%। আর মার্চ মাসে কোম্পানিগুলো দাবি পরিশোধ করেছে ২৭ হাজার ৩২৯টি। যা শতকরা ১১.২১। আর পেন্ডিং রেখেছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৩৮৬টি। যা ৮৮.৩৭%। আইডিআরএ দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দাবি পরিশোধ করেছে গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স। গত ৩ মাসে গড়ে কোম্পানিটি ৩.৭৫% দাবি পরিশোধ করেছে। আর অপরিশোধিত রেখেছে ৯৬.২৪%। গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্সে জানুয়ারি মাসে দাবি উত্থাপিত হয় ৩০টি। এর আগের মাস পর্যন্ত অপরিশোধিত ছিল ৮৯১টি। ফলে জানুয়ারি মাসে মোট পরিশোধযোগ্য দাবির সংখ্যা দাড়ায় ৯২১টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে ৩৩টি, অর্থাৎ ৩.৫৮%। আর অপরিশোধিত রাখে ৯৬.৪১%। ফেব্রুয়ারি মাসে দাবি উত্থাপিত হয় ৩০টি। জানুয়ারি মাসের ৮৮৮টি অপরিশোধিত দাবিসহ মোট পরিশোধযোগ্য দাবির সংখ্যা দাঁড়ায় ৯১৮টিতে। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ৪২টি, অর্থাৎ ৪.৫৭%। অপরিশোধিত রাখে ৯৫.৪২%। একইভাবে মার্চ মাসে পরিশোধযোগ্য দাবি সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩৩টি। পরিশোধ করে মাত্র ২৯টি, অর্থাৎ ৩.১০%। অপরিশোধিত থাকে ৯৬.৮৯%। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দাবি পরিশোধ না করার হারের দিক থেকে ২য় অবস্থানে আছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি আলোচ্য ৩ মাসে গড়ে দাবি পরিশোধ করেছে ৪.৮৬%। অপরিশোধিত রেখেছে ৯৫. ১৫%। গত জানুয়ারিতে কোম্পানিটিতে দাবি উত্থাপিত হয় ৩৪ হাজার ৮৯৬টি। আগের অপরিশোধিত ৮৫ হাজার ২০৪টি দাবিসহ এ মাসে পরিশোধযোগ্য মোট দাবির সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ২০ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ৭ হাজার ৪১২টি, অর্থাৎ ৬.১৭%। আর অপরিশোধের হার ৯৩.৮২%। ফেব্রুয়ারি মাসে ওই কোম্পানিতে নতুন করে দাবি উত্থাপিত হয় ৩১ হাজার ৮০৮টি। জানুয়ারি মাসের অপরিশোধিত ১ লাখ ১২ হাজার ৬৮৮টি দাবিসহ মোট পরিশোধযোগ্য দাবির সংখ্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯৬টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ৫ হাজার ৯৮৫টি। অর্থাৎ ৪.১৯%। আর মার্চে নতুন দাবি উত্থাপিত হয় ২৯ হাজার ১২১টি। পূর্বের অপরিশোধিত দাবিসহ এ মাসে মোট পরিশোধযোগ্য দাবির সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩২টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ৭ হাজার ৪০ টি, অর্থাৎ ৪.১৯%। অপরিশোধিত ৯৫.৮০%। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি দাবি পরিশোধ করেছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ৩ মাসে কোম্পানিটির দাবি পরিশোধের হার গড়ে ৮২.৩৩%। আর দাবি অপরিশোধিতের হার ১৭.৬৬%।এ কোম্পানিতে জানুয়ারি মাসে দাবি উত্থাপিত হয় ৬৪টি। এর আগের মাস পর্যন্ত অপরিশোধিত ২৯টি দাবিসহ পরিশোধযোগ্য মোট দাবির সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে ৭৬টি, অর্থাৎ ৮১.৭২%। অপরিশোধিত ১৮.২৭%। ফেব্রুয়ারিতে নতুন দাবি উত্থাপিত হয় ২৪টি। আগের অপরিশোধিত ৪৭৮টি দাবিসহ মোট পরিশোধযোগ্য দাবির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০২টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে ৩৯টি। অর্থাৎ ৭.৭৬%। অপরিশোধিত ৯২.২৩%। মার্চে নতুন দাবি উত্থাপিত হয় ১৪টি। আগের অপরিশোধিত ৪৬৩টি দাবিসহ মোট পরিশোধযোগ্য দাবির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭৭টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ২৮টি। অর্থাৎ ৫.৮৭%। অপরিশোধিত ৯৪.১২%। সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আলোচ্য ৩ মাসে দাবি পরিশোধের হার গড়ে ১০.৫৬% এবং অপরিশোধিত ৮৯.৪৪%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে অপরিশোধিত ৯০.৮৬% ফেব্রুয়ারিতে ৮৮.২১%, মার্চে ৮৯.২২%। বায়রা লাইফে জানুয়ারিতে উত্থাপিত হয় ১৪টি। এর আগে মাস পর্যন্ত অপরিশোধিত ৭৩টি দাবিসহ মোট পরিশোধযোগ্য দাবির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৭টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে ১২টি। অর্থাৎ ১৩.৭৯%। অপরিশোধিত ৮৬.২০%। ফেব্রুয়ারিতে দাবি পরিশোধ করে মাত্র ৩.১৬%। অপরিশোধিত ৮৭.৩৮%। মার্চে মোট পরিশোধ করে ২০.৯৮%, অপরিশোধিত ৭৯.০১%। কোম্পানিটি আলোচ্য ৩ মাসে গড়ে দাবি পরিশোধ করে ১২.৬৪%, অপরিশোধিত ৮৭.১৯%। ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে জানুয়ারিতে দাবি উত্থাপিত হয় ১৩ হাজার ১৮৫টি। আগের মাস পর্যন্ত অপরিশোধিত ৪২ হাজার ২৩২টি দাবিসহ এ মাসে মোট পরিশোধযোগ্য দাবির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫ হাজার ৪১৭টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে ১৬ হাজার ৪৮৮টি, অর্থাৎ ২৯.৭৫% অপরিশোধিত ৭০.২৪%। ফেব্রুয়ারিতে ডেল্টা লাইফে দাবি পরিশোধের হার ২৭.৬৯%, অপরিশোধিত ৭২.৩০%। মার্চে পরিশোধিত ২৩.২৫%, অপরিশোধিত ৭৬.৭৪%। ৩ মাসে গড়ে দাবি পরিশোধের হার ২৬.৮৯%, অপরিশোধিত ৭৩.০৯%। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ মাসে দাবি পরিশোধের হার গড়ে ২৭.৭০%, অপরিশোধিত ৭২.২৮%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৮৩.৬৮%, ফেব্রুয়ারিতে ৭৪.৪৮% ও মার্চে ৭২.২৮% দাবি অপরিশোধিত রাখে। প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সর ৩ মাসে গড়ে দাবি পরিশোধের হার ৩১.২৯%। অপরিশোধিত ৬৮.৭৩%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৬৯.১৪%, ফেব্রুয়ারিতে ৭৪.২৫% ও মার্চে ৬২.৮০% দাবি অপরিশোধিত রাখে। ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আলোচ্য ৩ মাসে দাবি পরিশোধের হার গড়ে ৩১.৬৩%। অপরিশোধিত ৬৮.৬৭%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে অপরিশোধিত ৬৩.৮৯% ফেব্রুয়ারিতে ৬৮.৫১%, মার্চে ৭৩.৬৩%। মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩ মাসে দাবি পরিশোধের হার গড়ে ৩৩.৮৭%। অপরিশোধিত ৬৬.১০%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৬৫.২৪%, ফেব্রুয়ারিতে ৬৮.৪৯% ও মার্চে ৬৪.৫৮% দাবি অপরিশোধিত রাখে। সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন গত ৩ মাসে গড়ে দাবি পরিশোধ করে ৩৬.৭৯%। অপরিশোধিত দাবির হার ৬৩.৭৯%। জীবন বীমা করপোরেশনে গত জানুয়ারিতে দাবি উত্থাপিত হয় ৭ হাজার ৮৯টি। আগের মাসের অপরিশোধিত ১০ হাজার ৪০৭টি দাবিসহ এ মাসে মোট পরিশোধযোগ্য  দাবির সংখ্যা  দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৪৯৬টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে ৭ হাজার ২২৭ টি, অর্থাৎ ৪১%। অপরিশোধিত ৫৮.৬৯%। ফেব্রুয়ারিতে নতুন দাবি উত্থাপিত হয় ৪ হাজার ৪৮৩টি। আগের অপরিশোধিত ১০ হাজার ২৬৯টি দাবিসহ এ মাসে মোট দাবি দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৭৫২টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ৫ হাজার ১৭৬টি, অর্থাৎ ৩৫.০৮%। অপরিশোধিত ৬৪.৯১%। আর মার্চে মোট দাবি দাঁড়ায় ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬১টি। পরিশোধ করে মাত্র ৪ হাজার ৫৯৪টি, অর্থাৎ ৩৪.৩১%। অপরিশোধিত ৬৭.৭৮%। সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আলোচ্য ৩ মাসে দাবি পরিশোধের হার গড়ে ৩৭.২৮%। অপরিশোধিত ৬২.৭০%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৭৪.৫২%, ফেব্রুয়ারিতে ৬৫.৭৮ % ও মার্চে ৪৭.৮২% দাবি অপরিশোধিত রাখে। মেটলাইফ আলিকোর-এ ৩ মাসে দাবি পরিশোধের হার ৩৯.৪৭%। অপরিশোধিত ৬০.৫১%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৫১.০৩%, ফেব্রুয়ারিতে ৬৪.৯৩% ও মার্চে ৬৫.৫৮%। পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ মাসে দাবি পরিশোধের হার ৫৫.৫৯%। অপরিশোধিত ৪৩.৯৬%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩৪.৯৭%, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫.৩২% ও মার্চে ৪৩.৯৬% দাবি অপরিশোধিত রাখে। প্রাইম ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ মাসে দাবি পরিশোধের হার গড়ে ৬৩.৯৫%। অপরিশোধিত ৩৬.০৩%। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০% ফেব্রুয়ারিতে ৩৬.৫৮% ও মার্চে ৬১.৫৩% দাবি অপরিশোধিত রাখে। এদিকে ১০টি কোম্পানি প্রতিবেদন জমা দেয়নি। সেগুলো হলো- আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রোটেক্টিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। নতুন অনুমোদন পাওয়া লাইফ বীমা কোম্পানি বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স জানুয়ারি, ফেব্রæয়ারি ও মার্চে কোন দাবি পরিশোধ করেনি। অর্থাৎ তিন মাসে ১০০ ভাগ দাবি বকেয়া রেখেছে। কোম্পানিটিতে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে মোট ৮টি দাবি উত্থাপিত হয়। উল্ল্যেখ্য, বীমা আইন ২০১০ এর ৭২ ধারা অনুসারে ৯০ দিনের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধের বিধান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধ না করলে ৯০ দিনের পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ব্যাংকের প্রচলিত সুদ হারের উপর ৫% হারে মাসিক ভিত্তিতে সুদসহ বীমা দাবি পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মূখ্য নির্বাহী বলেন, দাবি পরিশোধ সংক্রান্ত যে তথ্যের কথা বলা হচ্ছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে তিনি বলেন, যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সে সময়ে দেশের সব জায়গাতে আন্দোলন ছিলো। দেশব্যাপী সহিংসতা বিরাজ করছিলো। এ সময় ইন্স্যুরেন্স তো দুরে থাক কোনো কাজই ব্যবসায়ীরা করতে পারেনি। এতে কোম্পানিতে গ্রাহকদের দাবি সেভাবে আসেনি। আর যেগুলো এসেছিলো তা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। এতে শতাংশ হারে কমতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে বর্তমানে এ অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের কোম্পানি গ্রাহকদের দাবি দ্রুত পরিশোধ করছে। তিনি বলেন, কোম্পানির সব গ্রাহক সমান না। তার পরেও দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। এমনকি গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্সের খরচ কমিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ করা হচ্ছে। আগে কোম্পানির অবস্থা খারাপ থাকলেও এখন ভালো অবস্থানে এসেছে। কোম্পানির বর্তমানে একমাত্র কাজ গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করা। অনেক চেষ্টার ফলে সফল হয়েছি। বর্তমানে অনেকটা কন্ট্রোলে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মূখ্য নির্বাহী বলেন, পপুলার লাইফ সব সময় গ্রাহকদের কল্যাণে কাজ করে। গ্রাহকের দাবি পরিশোধে সর্বদা আন্তরিক। কোম্পানিতে কোনো গ্রাহকের দাবি উত্থাপিত হলেই ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করা হয়। ফলে আমাদের কোম্পানির গ্রাহকদের দাবি পরিশোধের পরিমান ৯০ শতাংশের উপরে। আপনারা যে তথ্য দিচ্ছেন এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। এই তথ্য আইডিআরএ থেকে সংগ্রহ করা উল্লেখ্য করলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আইডিআরএ পপুলার লাইফ দেয়নি বলে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ্য করেন। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের ভুল তথ্য প্রকাশ পেলে বাজারে গুজব সৃষ্টি হবে বিধায় এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান তিনি। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মূখ্য নির্বাহী জানান, আমাদের কোনো দাবি বাকি নাই বললেই চলে। সর্বশেষ ৯৭টি দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের কোম্পানি নরমালি ২০/৩০ দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ করে থাকে। কোনো দাবি ৩ মাসের বেশি সময় অতিক্রম করে না। কাগজপত্রসহ উপযুক্ত প্রমাণসহ গ্রাহকদের দাবি আসলে ২০ দিনের বেশি সময় লাগে না দাবি পরিশোধ করতে।