বীমা কোম্পানিগুলোর মূলধন বাড়ালো পাকিস্তান

অর্থলগ্নী এবং আরো বড় ধরণের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াতে বীমা কোম্পানীগুলোর সর্বনিম্ন পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন (পাকিস্তানী) রুপি ( ১.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাড়িয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি)। পাকিস্তানী সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, বীমা আইন সংশোধণ করে প্রাথমিক পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে দেশটির ফিনান্সিয়াল রেগুলেটরি এজেন্সি। সংশোধিত বিধি অনুযায়ী এর পরিমাণ দাঁড়াবে অ-জীবন বীমা কোম্পানীর জন্য ৫০০ মিলিয়ন রুপি এবং জীবন বীমা কোম্পানির ৭০০ মিলিয়ন রুপি। নতুন মূলধনের পরিমাণ একটি ক্রমিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হবে।নতুন এই শর্ত পুরণ করতে বিদ্যমান বীমা কোম্পানিগুলো ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই দু’বছর সময় পাবে। ‘ইন্সুরেন্স আইন ২০০০’বাস্তবায়নের সময় পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ছিল- জীবন বীমা কোম্পানীর জন্য ১৫০ মিলিয়ন রুপি এবং অ-জীবন বীমা কোম্পানীর জন্য ৮০ মিলিয়ন রুপি। ২০০৭ সালে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বাড়িয়ে জীবন বীমা কোম্পানীর জন্য ৫০০ মিলিয়ন রুপি এবং অ-জীবন বীমা কোম্পানীর জন্য ৩০০ মিলিয়ন রুপি নির্ধারণ করা হয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি) ২০১২ সালে একটি বীমা শিল্প পুনর্গঠন কমিটি গঠন করে। যার কাজ হলো, দেশের বীমা শিল্প যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার মূল্যায়ন করা। এছাড়াও বীমা শিল্পের অগ্রগতির জন্য সর্বোত্তম নিয়মকানুন করতে সুপারিশ করাও এ কমিটির দায়িত্ব। ওই কমিটি বীমা কোম্পানীগুলোর সর্বনিম্ন পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করে।