আইডিআরএ শোক দিবস পালন

জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকীতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু’র পরিবারের যেসব সদস্য শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম ও অবদানের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গত ১৫ আগস্ট, ২০১৫ ইং তারিখে কর্তৃপক্ষের দপ্তরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. শেফাক আহমেদ, একচ্যুয়ারি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোঃ কুদ্দুস খান। এছাড়া কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এম. শেফাক আহমেদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এত সংক্ষিপ্ত পরিসরে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে আমরা যারা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিলাম তারাই বুঝতে পারি স্বাধীনতার মুক্তি কতটুকু আনন্দের। আজকে দেশ অর্থনৈতিকভাবে যতটুকু শৃঙ্খল, শিক্ষায় যতটা এগিয়েছে তা সবই সম্ভব হয়েছে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশের কারণে। আর এই স্বাধীনতায় অনবদ্য ও অবিসংবাদিত নেতার ভূমিকা গভীর শ্রদ্ধাভরে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ কুদ্দুস খান জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম এবং অবদানের উপর মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বমহিমায় একজন স্বতন্ত্র নেতা হিসেবে নিজেকে শুধুমাত্র বাঙালীর কাছে নয় বিশ্বের কাছেও নিজেকে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে তুলে ধরছেন। স্বাধীনতার পূর্বে ছাত্রনেতা কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে যেমন সকল রাজনীতিতে থেকেছেন সক্রিয় তেমনি স্বাধীনতার পর স্বাধীন দেশের মাটিতে পদচিহ্ন দেওয়ার আগে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং দেশের আপামর জনসাধারণের কথা ভেবেছেন সবার আগে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছয় দফা দাবি, গণঅভ্যুত্থানসহ পূর্ব পাকিস্থানের সকল নেতৃত্বে থেকেছেন দৃঢ় চিত্তে। এমনকি স্বাধীনতার পরপরই ভারতের সৈন্য ফেরত সমঝোতা, পররাষ্ট্র নীতিতে ন্যাচারাল বন্ধু বলতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন অবস্থান, একবছরের মধ্যে দেশের সংবিধান প্রণয়ন, পাকিস্তানের স্বীকৃতিসহ অন্যান্য দেশের বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনসহ এবং অসাম্প্রদায়িকতা রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লিখিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী ’ বইটি সকলকে পড়ার অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের সদস্য জনাব জুবের আহমেদ খাঁন ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বঙ্গবন্ধু’র জীবনী এবং কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন।