স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স স্থগিতাদেশ হাইকোর্টে স্থগিত

বেসরকারী বীমা কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স স্থগিত করে দেয়া আাইডিআরএ’র আদেশ স্থগিত  করেছে  হাইকোর্ট। ২৯ জুন কোম্পানিটির রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি আবু তাহের মো: সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কোম্পানি সচিব মো: কাউসার মুন্সী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর ফলে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স আগের মতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে, জানিয়েছে কোম্পানিটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জুন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের লাইসেন্স ৩ মাসের সাময়িক স্থগিত আদেশ দেয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে কোম্পানিটি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আইডিআরএ’র ওই আদেশের বিরুদ্ধে ৬ মাসের স্থগিত আদেশ প্রদান এবং রুলনিশি জারি করেন। স্ট্যার্ন্ডাড ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অমর কৃষ্ণ সাহা রিটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মহামান্য হাইর্কোট আমাদের পক্ষে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এখন আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে কোন বাধা নেই। উল্লেখ্য, পুন:বীমা না করেই পলিসির দাবি পরিশোধের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স  ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। বীমা আইনের ১০ (১) (ঝ) ধারার আওতায় কোম্পানির লাইসেন্স জুনের ২১ তারিখ থেকে আগামী ৩ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। আইডিআরএ’র নির্দেশে বলা হয়, এ ৩ মাসের মধ্যে কোম্পানি নতুন করে কোনো বীমা পলিসি করাতে পারবে না বলে। পাশাপাশি নতুন কোনো বীমা কাভার নোট এবং বীমা সনদও দিতে পারবে না। দেশের ইতিহাসে বীমা কোম্পানির লাইসেন্স স্থগিত করার ঘটনা এটিই প্রথম। উল্লেখ্য, আলোচিত স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় গ্রুপটির মালিকানাধীন বীমা কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স পুন:বীমা না থাকার পরও অগ্নিবীমার দাবি উত্থাপন করে সরকারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে। ফলে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ পায় বলে অভিযোগ ওঠেছে।