ভারতে ২০ শতাংশেরও কম কৃষকের শস্যবীমা পলিসি আছে।বাদবাকী ৮০ শতাংশের বেশী কৃষক আবহাওয়ার খামখেয়ালির হাতে নিজেদের ছেড়ে দিয়ে জীবনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।সম্প্রতি অতিবর্ষণে রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার পর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। প্রায় ৩২ মিলিয়ন কৃষক বিভিন্ন ধরণের শস্যবীমা স্কিমে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে এ গবেষণা প্রতিবেদন।
শিল্প চেম্বার ও আবহাওয়া গবেষণা সংগঠনের যৌথ উদ্যোগ অ্যাসোচেম-স্কাইমেট ওয়েদার স্টাডি এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, নিখিল ভারত পর্যায়ে ১৯ শতাংশ কৃষক তাদের শস্যের বীমা করেছে বলে জানিয়েছে। বাদবাকীরা হয় শস্য বীমা সম্পর্কে কিছু জানে না অথবা শস্য বীমা নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এদের মধ্যে আবার ২৪ শতাংশ কৃষক জানিয়েছে শস্য বীমার সুযোগ তাদের কাছে সহজলভ্য নয়।
শস্যবীমা পলিসির প্রিমিয়াম দেয়ার সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ কৃষক।
গবেষণা প্রতিবেদনের দাবি, সরকার পর্যাপ্ত ভর্তূকি দেয়া সত্বেও কৃষকরা শস্যবীমার আওতায় আসছে না। বীমা দাবি পরিশোধ করতে খুব বেশি সময় ক্ষেপন করা এর প্রধান কারণ বলে মনে করছে গবেষকরা।
কৃষকদের কল্যাণে শস্যবীমাকে সংস্কার করে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল ইন্স্যুরেন্স স্কিম নামে আরও বেশী বাজার ভিত্তিক বীমা প্রকল্প চালু করেছে সরকার। এ প্রকল্পে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।এতে অল্প সময়ের মধ্যে বীমা দাবি নিষ্পত্তি করার নিশ্চয়তাসহ আরও কিছু বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঘটনা নির্ভর বীমা পণ্য ছেড়ে আবহাওয়া ভিত্তিক বীমা পণ্যের পৃষ্ঠপোশকতা করায় সরকারের প্রশংসা করে চেম্বারের জেনারেল সেক্রেটারি ডিএস রাওয়াত বলেন, বেসরকারী খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে সামাজিক শস্য বীমা প্রকল্প থেকে সরে বাজার ভিত্তিক প্রকল্প চালু করে সরকার কৃষকদের এক বড় ধরণের সুযোগ পৌঁছে দিয়েছে।
তারিখ-১৩ এপ্রিল-২০১৫