চলতি মাসে ২৪টি বীমা কোম্পানির একাধিক শাখায় তদন্ত চালাবে আইডিআরএ
চলতি মাসে ২৪ ননলাইফ বীমা কোম্পানিতে তদন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই নতুন ৩টি দল গঠন করেছে বীমাখাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কোম্পানিগুলোর প্রধান কার্যালয়সহ শাখা কার্যালয়ে যখন যে অবস্থায় খুশি তদন্ত (রেনডম ইনভেস্টিগেশন) করবে এসব তদন্ত দল । আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি মাসের প্রথম থেকে মাঠে সক্রিয় রয়েছে আইডিআরএ’র ৩টি তদন্ত দল। কয়েকটি কোম্পানির একাধিক শাখা কার্যালয়ে তদন্তও চালানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১২ সাল থেকে চলতি মাস পর্যন্ত বিভিন্ন বীমা কোম্পানির ২০৯ টি শাখায় তদন্ত চালায় আইডিআরএ’র তদন্ত দল। এর মধ্যে ২০১২ সালে ৪৩ টি ননলাইফ বীমা কোম্পানির ১৫৬ টি শাখায় তদন্ত করে। এর পরের বছর ১৬টি ননলাইফ কোম্পানির ২৫টি শাখায় ও ২০১৪ সালে ১৯টি কোম্পনির ২৯টি শাখায় তদন্ত করা হয়। এসব তদন্তে অধিকাংশ শাখার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানা করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, ২০১৪ সালে ২৯টি শাখায় তদন্ত করে একাধিক বার আইন লংঘনের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিটি অভিযোগের জন্য বীমা কোম্পানিকে ৫ লাখ টাকা ও মূখ্য নির্বাহীকে ১ লাখ টাকা ও শাখা ব্যবস্থাপককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শুনানী ও জরিমানা করা হলেও অনেক কোম্পানি জরিমানার বিষয়ে আইডিআরএর কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রথম ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা ও পরবর্তীতে তা কমিয়ে আড়াই লাখ টাকা করা উভয় কর্মকাণ্ডেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় আইডিআরএকে।
জরিমানার বিষয়ে চিঠি না পাওয়া প্রসঙ্গে আইডিআরএ’র সদস্য জুবের আহমেদ খান বলেন, আইডিআরএ পর্যাপ্ত জনবল নেই। এত অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে ৭৭ টি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এছাড়া একেকটি কোম্পানিতে একাধিক বার তদন্ত করা হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগে পৃথক পৃথকভাবে জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিটি শুনানী নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়েছে। ফলে অনেকে কোম্পানির জরিমানার চিঠি পাঠাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। জনবল সংকট কেটে গেলে এমন অবস্থা কোনো সুযোগ থাকবে না।
তারিখ- ৫ এপ্রিল-২০১৫