নতুন ১৩ লাইফের ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ৬৫%, অতিরিক্ত ব্যয় কমেছে ১৪%
নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরে চতুর্থ প্রজন্মের ১৩টি বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানির ব্যবসা বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। বছরটিতে সর্বমোট ১৬৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে কোম্পানিগুলো। এরআগে ২০১৫ সালে যার পরিমাণ ছিল ৯৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৬ সালে কোম্পানিগুলো ৬৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বেশি ব্যবসা করেছে।
অন্যদিকে ২০১৬ সালে কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা খাতে অতিরিক্ত ব্যয় কমে এসেছে ১৪ শতাংশ। বছরটিতে কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যা অনুমোদিত ব্যয়সীমার চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি। আগের বছর ২০১৫ সালে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৫৫ শতাংশ বা ৪৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ'তে দাখিল করা কোম্পানিগুলোর তথ্য বিশ্লেষণে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
তথ্য মতে, ২০১৬ সালে বীমা কোম্পানিগুলো ১৬৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ১৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট ব্যবসার ৮১ শতাংশ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় হয়েছে। অথচ ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৯৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা মোট ব্যবসার ৫৭ শতাংশ। আগের বছর ২০১৫ সালে ৯৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ১২৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট ব্যবসার ১৩২ শতাংশ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় হয়েছে। অথচ ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা মোট ব্যবসার ৮৫ শতাংশ।
নতুন ১৩টি বীমা কোম্পানির মধ্যে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানো উভয় দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে সর্বমোট ৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। তবে ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ অনুমোদিত সীমার চেয়ে কোম্পানিটি ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা প্রায় ৩২ শতাংশ কম ব্যয় করেছে।
তবে আগের বছর ২০১৫ সালে কোম্পানিটি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের দিক থেকে ৫ম স্থানে ছিল। এ বছর কোম্পানিটি ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় করে।যা মোট ব্যবসার ৫৫ শতাংশ। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটি ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বা ৮১ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করে।
অন্যদিকে ২০১৬ সালে শতাংশের হিসাবে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে প্রোটেক্টিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স।কোম্পানিটি অনুমোদিত সীমার চেয়ে প্রায় ২১১ শতাংশ বেশি ব্যয় করে। আলোচ্য বছরে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয়ের জন্য ৮ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করে। যা মোট ব্যবসার ১১০ শতাংশ। ব্যয়ের এ সীমা ছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।সে হিসাবে কোম্পানিটি ৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে।
আগে বছরে প্রোটেক্টিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। যা মোট ব্যবসার প্রায় ২৭৬ শতাংশ। সে বছর কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৫ কোটি ১২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। অনুমোদিত সীমার চেয়ে যার পরিমাণ প্রায় ১১৬ শতাংশ বেশি।
অতিরিক্ত ব্যয়ের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা মোট ব্যবসার ২০১ শতাংশ। অথচ অনুমোদিত ব্যয় সীমা ছিল ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ আলোচ্য বছরে স্বদেশ লাইফ ২ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। অনুমোদিত সীমার চেয়ে যার পরিমাণ প্রায় ১৪৩ শতাংশ বেশি।
এর আগের বছরেও স্বদেশ লাইফ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। কোম্পানিটি ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করে। যা মোট ব্যবসার ২৭৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয়ের সীমা ছিল ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা বা ১৮৫ শতাংশের বেশি ব্যবস্থাপনা খাতে অতিরিক্ত ব্যয় করে স্বদেশ লাইফ।
চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৬ সালে ৭ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অথচ কোম্পানিটির ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। যা ৭৭ শতংশের বেশি।
২০১৫ সালে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয়ে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটি ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা প্রায় ১১৭ শতাংশ ব্যবস্থাপনা খাতে অতিরিক্ত ব্যয় করে।
আগের বছরে গোল্ডেন লাইফে ৫৪ কোটি ২২ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যয় হয়েছে ৩৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। তবে অনুমোদন ছিল ২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা বা প্রায় ৭৩ শতাংশ।
এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স গত বছর ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। অথচ কোম্পানিটির ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ২০১৬ সালে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা অনুমোদিত সীমার চেয়ে ৭৪ শতাংশের বেশি।
২০১৬ সালে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৯ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে। অথচ ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটি ৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা প্রায় ৫৭ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। আগের বছর ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে। ৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন থাকলেও ব্যয় করে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত ব্যয় করে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা ২৯ শতাংশ।
২০১৬ সালে বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১২ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ১৩ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে। অথচ ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটি ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ৫৩ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। আগের বছর ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে। ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। ব্যয় করে ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা প্রায় ৫৬ শতাংশ বেশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় করে।
আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স গত বছর ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অথচ ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০১৬ সালে কোম্পানিটি ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা বা ৪৭ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। আগের বছর ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ হিসেবে ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা ২২১ শতাংশ বেশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে।আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি শতাংশের হিসাবে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
২০১৬ সালে মার্কেন্টাইল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৮ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে। অথচ ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটি ২ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা প্রায় ৪৭ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৭ কোটি ১ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে। ৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা অনুমোদিত সীমা থাকলেও ব্যয় করেছে ৯ কোটিটাকা। অর্থাৎ ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ২৮ শতাংশ বেশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে।
যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স গত বছর ১০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অথচ ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০১৬ সালে কোম্পানিটি ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা প্রায় ৫২ শতাংশ বেশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে।
২০১৬ সালে জেনিথ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ১৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে। অথচ ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটি ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা বা ৩৬ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যয় করেছে ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা ২৮ শতাংশ বেশি ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে।
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স গত বছর ২০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ২২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। অথচ ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।এ হিসাবে ২০১৬ সালে কোম্পানিটি ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বা ৩৩ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।এহিসাবে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা প্রায় ৪৬ শতাংশ বেশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে।
২০১৬ সালে ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে। অথচ ব্যয়ের অনুমোদিত সীমা ছিল ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা প্রায় ৩৩ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে ব্যয় করে১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা খাতে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা প্রায় ২৯ শতাংশ বেশি ব্যয় করেছে।
নতুন অনুমোদন প্রাপ্ত লাইফ ইন্স্যুরেন্স করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা এলআইসি বাংলাদেশ ২০১৬ সালের অক্টোবরে ব্যবসায় নেমে ৭৫ দিনে ১৪ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে। তবে কোম্পানিটি এই প্রিমিয়াম আয় করতে কত টাকা ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে তার হিসাব পাওয়া যায়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র তথ্যে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে "নতুন ১৩ লাইফের ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ৬৫%, অতিরিক্ত ব্যয় কমেছে ১৪%" শিরোনামে নিউজটি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু এক ঘণ্টার ব্যবধানে "SA3D HaCk3D" নামে একটি হ্যাকিং গ্রুপ নিউজটি হ্যাকড করে। এ কারণে নিউজটি পুনরায় প্রকাশ করা হলো।