কম্বোডিয়ার বীমাখাতে ৩৬% প্রবৃদ্ধি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: কম্বোডিয়ার লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ২০১৬ সালে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এবছর সর্বমোট ১১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছে। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে যার পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। ইন্স্যুোরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব কম্বোডিয়া (আইএসি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। খেমের টাইমস'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার বীমাখাতে ধারাবাহিক অগ্রগতি হচ্ছে। প্রপার্টি ইন্স্যুরেন্স, ফায়ার ইন্স্যুরেন্স, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্স, পার্সোনাল এক্সিডেন্ট ইন্স্যুরেন্স, মেরিন ইন্স্যুরেন্স, এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স এবং ট্রান্সপোর্ট ইন্স্যুরেন্স কভারেজ বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিকভাবে এই শক্তিশালী অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। আইএসি'র চেয়ারম্যান হুয়ে ভাথারো বলেছেন, প্রতিবেদনটি একটি ভালো নিদর্শন যে, কম্বোডিয়ার বীমাখাত অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। বীমাখাতের অগ্রগতি দেশের অর্থনীতির উত্তম ভবিষ্যতকেই স্পষ্ট করছে এবং কম্বোডিয়ান ফ্যামিলি ও ব্যবসায় যে চাপ সৃষ্টি হতে পারে তা বীমা কোম্পানিগুলো দিকে স্থানান্তর হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব কম্বোডিয়া'র চেয়ারম্যান আরো বলেন, কম্বোডিয়ার পরিবারগুলোর জন্য একটি মজবুত আর্থিক ভবিষ্যৎ নির্মাণের পাশাপাশি দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নে জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ছাড়াও লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মেনুলাইফ কম্বোডিয়ার সিইও এবং আইএসি'র ভাইস-চেয়ারম্যান রবার্ট ইলিয়ট বলেছেন, কম্বোডিয়ায় লাইফ ইন্স্যুরেন্স বিস্তৃতি লাভ করছে। ২০১৬ সালে প্রথম বর্ষ গ্রস প্রিমিয়াম ৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে ২ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালে এই প্রিমিয়ামের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। দেশটির সবচেয়ে বড় বীমা কোম্পানি ফোরটে ইন্স্যুরেন্স'র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ইউক চামরোয়েনরিথ জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে কোম্পানিটি প্রিমিয়াম সংগ্রহে ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগের বছরে যা ছিল ২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। ইঞ্জিনিয়ারি, মেডিকেল ও রিয়েল এস্টেট খাতে বেশিরভাগ অগ্রগতি লাভ করেছে কম্বোডিয়ার বীমা বাজারের ৪৭ শতাংশ শেয়ারধারী এই ফোরটে ইন্স্যুরেন্স।