ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: “নো হেলথ ইন্স্যুরেন্স, নো ভিসা” নীতি কার্যকর করেছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। ফলে এখন থেকে কেউ বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বীমা কভারেজ গ্রহণ ছাড়া দুবাইয়ে বসবাসের জন্য ভিসা নবায়ন করতে পারবে না। গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে যারা এখনো স্বাস্থ্য বীমার এসেনশিয়াল বেসিক প্যাকেজ (ইবিপি) গ্রহণ করতে পারেনি তাদের জন্য টাইপিং সেন্টার থেকে অনলাইনে এই বীমা ক্রয়ের সুযোগ রেখেছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে ২০০ দিরহাম অতিরিক্ত ফিসহ মোট ৮৫০ দিরহাম প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে।
দুবাইয়ে বসবাসকারি সকলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কয়েক দফায় স্বাস্থ্য বীমা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে শহর কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালের ৩০ জুন ইবিপি গ্রহণের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সময় বর্ধিত করে গত ৩১ ডিসেম্বর এই বীমা গ্রহণের সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা হয়।
টাইপিং সেন্টারগুলোর একজন প্রতিনিধি বলেন, “এখানে কিছু বীমা কোম্পানি রয়েছে, যারা অতিরিক্ত ফি নিয়ে অনলাইনে বীমা বিক্রি করে। আমরা এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম।” তবে স্বাস্থ্য বীমার জন্য যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয় সেগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রধান বিভ্রান্তির রিপোর্ট করছেন বীমা প্রতিনিধিরা।
জোনাকি ভট্টাচার্য নামে আরেক বীমা প্রতিনিধি গালফ নিউজ’কে জানিয়েছেন, আমরা সকল স্টেকহোল্ডারের মধ্যে আরো স্বচ্ছতা এবং সচেতনতা প্রত্যাশা করি, যেগুলো টাইপিং সেন্টার, কোম্পানির এইচআর বিভাগ, বীমা কোম্পানির আন্ডাররাইটার, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিনিধিরা গ্রাহকের জন্য বীমা কভারেজের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু বীমা কোম্পানি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছে এখনো স্বাস্থ্য বীমার কার্ড ইস্যু করা হয়নি, যা তাদের ভিসা নবায়নের জন্য চিঠি পাঠাতে সমস্যা সৃষ্টি করছে।