বয়স্কদের জন্য লং টার্ম কেয়ার ইন্স্যুরেন্স চালু করল চীন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ষাটোর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের সেবা-শুশ্রুষার জন্য লং টার্ম কেয়ার ইন্স্যুরেন্স (এলটিসিআই) কর্মসূচি চালু করেছে চীন। পরীক্ষামূলকভাবে সাংহাইয়ের তিনটি জেলায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায় প্রকল্পটি বর্ধিত করা হবে। এই বীমার আওতায় ৪০ ধরণের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পাবলিক সোসাল সিকিউরিটি অ্যা  মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান’র দ্বারা এই কভারেজ প্রদান করা হচ্ছে। এরইমধ্যে জুহুই, পুটুও এবং জিনসান ডিস্ট্রিকের ৫০০ জনের বেশি বয়জ্যেষ্ঠ নাগরিক এই বীমা প্রকল্পে যোগদানের আবেদন করেছে।সাংহাই ডেইলি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। সাংহাই হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড সোসাল সিকিউরিটি ব্যুরো জানিয়েছে, আবেদনকারীদের কোন মাত্রার নার্সিং সেবার প্রয়োজন সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আবেদনকারীদের নিজেদের দেখাশোনা করার ক্ষমতা এবং তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থার মূল্যায়ন গ্রহণ করা হবে। মিস লি জিয়ানমেই নামে ব্যুরোর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচির ফলাফল মূল্যায়ন করব এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নীতি ও ব্যবস্থার উন্নয়ন করব। এরপর আগামী এক বছরের মধ্যে এই দীর্ঘমেয়াদী সেবা বীমা কর্মসূচি শহরব্যাপী বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। লং টার্ম কেয়ার ইন্স্যুরেন্স প্রোগ্রাম কার্যকর হলে হাসপাতালে অবস্থানকালে সরকার পরিচালিত মৌলিক স্বাস্থ্য বীমা পদ্ধতির শর্তানুসারে নার্সিং ফি পরিশোধ করতে হবে। নিজের বাড়িতে অথবা নার্সিং হোমে বাসকারী বীমা গ্রাহকরা মুখ ধোয়া ও গোসলের মতো ৪০ ধরণের সেবার কভারেজ পাবেন। পরীক্ষামূলক লং টার্ম নার্সিং ইন্স্যুরেন্স কর্মসূচি বাস্তবায়নে হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড সোসাল সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ১৫টি শহরের একটি হচ্ছে সাংহাই। চীনের দক্ষিণাংশে অবস্থিত এই শহরে ২ কোটি ৪১ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। জনসংখ্যার দিক দিয়ে শহরটির অবস্থান চীনের মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে পঞ্চম। সাংহাই শহরের ৪.৩ মিলিয়ন বা ৪৩ লাখের বেশি নাগরিকের বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি। এই সংখ্যা শহরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ। এরমধ্যে ৭ শতাংশ বয়জ্যেষ্ঠ নাগরিক আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজের সেবা-শুশ্রুষা করার ক্ষমতা হারিয়েছে। যার কারণে তাদের দীর্ঘমেয়াদী নার্সিং সেবা প্রয়োজন। তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে চীনের মোট জনসংখ্যার ১৫.৫ শতাংশের বয়স ছিল ৬০ বছর বা তারও বেশি। আগামী ২০২০ সাল নাগাদ এই অনুপাত ১৭.৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। (সূত্র: এআইআর)