ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: কম্বোডিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ও বিদ্যমান ভবনের জন্য বীমা কভারেজের চাহিদা বাড়ছে। বহুতল ভবন নির্মাণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির নন-লাইফ বীমাখাতে দ্রুত এই অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। নমপেন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানি হচ্ছে ফোর্টেই ইন্স্যুরেন্স। প্রতিষ্ঠানটি সম্পত্তি বীমার মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের বীমা বা ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্স’ এবং নির্মাণের পর ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত ভবনের বীমা তথা ‘বিল্ডিং ইন্স্যুরেন্স’র ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ুক চামরুয়েনরিথ জানিয়েছেন, বর্তমানে এই ধরণের বীমার ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ২০১৬ সালে কম্বোডিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনস্ট্রাকশন ইন্স্যুরেন্স ১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা ২০১৫ সালের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
নির্মাণাধীন ভবনের জন্য বীমা গ্রহণে সরকারি বিধান এবং নির্মাণ শিল্পের বিকাশের কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্সের চাহিদা বাড়ছে বলেও জানান ফোর্টেই ইন্স্যুরেন্সের এমডি ইয়ুক। দেশটিতে উচ্চ ঝুঁকির কারণে ৫ তলা বা তার বেশি বহুতল ভবন নির্মাণে ডেভেলপারদের বীমা গ্রহণ করতে হয়।
কম্বোডিয়ার ভূমি ব্যবস্থাপনা, নগর পরিকল্পনা ও নির্মাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির রাজধানী নমপেনে বর্তমানে পাঁচ তলা বা তার বেশি বহুতল ভবনের সংখ্যা ৭৯১টি। যা ২০১৫ সালের নথিভুক্ত এই ধরণের ভবনের সংখ্যার চেয়ে ১৬৩ শতাংশ বেশি।
ইয়ুক প্রত্যাশা করেন, এই ধরণের বীমা ব্যবসা আরো বাড়বে। কারণ, বেশিরভাগ ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে, যা আগামী ৫ বছরের মধ্যে শেষ হবে। উপরন্তু, বিনিয়োগকারী এবং নির্মাণকারি যারা তাদের রিয়েল এস্টেটে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার যোগান দিচ্ছে তারা অবশ্যই প্রকল্পের জন্য যথেষ্ট কভারেজ পেতে চাইবেন।
বর্তমানে ৫টি বীমা কোম্পানি কম্বোডিয়ায় নির্মাণ বীমার ব্যবসা করছে। ভবনের মালিকরা ধীরে ধীরে সচেতন হয়ে ওঠায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া ভবনের জন্যও দেশটিতে বীমার চাহিদা বাড়ছে।তবে বিদ্যমান ভবনের বীমার জন্য এখন একটি আইন প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
জেনারেল ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব কম্বোডিয়া (জিআইএসি)’র তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ নাগাদ নির্মাণ শিল্প থেকে ৪.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রিমিয়াম আসবে। যা গত বছরের একই সময়ে ৩.২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি।