ওবামাকেয়ারের বাধ্যবাধকতা শিথিল করলেন ট্রাম্প

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ওবামাকেয়ার খ্যাত মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা আইনের বাধ্যবাধকতা শিথিলের আদেশ জারি করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প। একইসঙ্গে আইনটি পর্যায়ক্রমে গুটিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারি সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর হোয়াইট হাউসের প্রেসিডেন্ট দপ্তর ওভাল অফিসে উপস্থিত হয়ে প্রথম কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট নিয়ে এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।

বলা হচ্ছে, ‘ওবামাকেয়ার’ নামে পরিচিত প্যাশেন্ট প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট (পিপিএসিএ) সংক্ষেপে অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট (এসিএ), যা রাষ্ট্র, কোম্পানিগুলো ও ব্যক্তিবর্গের ওপর রাজস্বের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।

এদিকে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরই হোয়াট হাউজের ওয়েবসাইটে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব পরিবর্তনের মধ্যে দেখা গেছে স্বাস্থ্যসেবার পাতাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারভিযানে বারাক ওবামার অ্যাফর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে বিজয়ের পর গণমাধ্যমে দেয়া প্রথম সাক্ষাতকারে তিনি ওবামাকেয়ার'র নীতিগুলোকে ভালোবাসেন বলে জানান।

গত ১৩ জানুয়ারি ওবামাকেয়ার বাতিলের প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে প্রাথমিক বাজেট প্রস্তাব পাস করে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান। বাজেট প্রস্তাবে ওবামাকেয়ার বাতিলের খসড়া আইন তৈরিতে ২৭ জানুয়ারি নাগাদ ৪টি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়।

এরআগে ২০০৮ সালে বারাক ওবামা তার নির্বাচনী ইশতেহারে স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এনে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। স্বাস্থ্যসেবা নীতি ও পদ্ধতিতে বীমা শিল্পের ব্যবহারের চমক দেখিয়ে আমেরিকানদের মন জয় করেন ওবামা। ক্ষমতায় এসে চালু করেন অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট।

স্বাস্থ্যসেবা শিল্প পুনর্গঠন করতে ২০১০ সালের ২৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট ওবামার দ্বারা অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট আইনে পরিণত হয়। আর ২০১২ সালের ২৮ জুন সুপ্রীমকোট এটিকে স্বীকৃতি দেয়।ওবামাকেয়ারের উদ্দেশ্য হলো- সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত স্বাস্থ্যবীমায় আমেরিকানদের আরো প্রবেশাধিকার দেয়া এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্রমবর্ধমান খরচ কমানো।