ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ অবলিখন লোকসানের মুখে পড়েছে ভারতের কয়েকটি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দু’টি বীমা প্রতিষ্ঠান বেশি লোকসানে পড়েছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বিগত ৬ মাসে কোম্পানিগুলোর এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে।তবে এই সময়ে বিপুল পরিমাণ প্রিমিয়াম সংগ্রহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কোম্পানিগুলো।
পিটিআই’র প্রতিবেদন অনুসারে, অবলিখন লোকসানের কারণে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি বীমা কোম্পানির মধ্যে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ৪২৯ কোটি রুপি অর্থাৎ ৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ওরিয়েন্টাল ৩৮২ কোটি রুপি প্রকৃত লোকসানে পড়েছে। তবে উভয় কোম্পানি আগের অর্থ বছরের প্রথমার্ধে মুনাফা করেছে। ইউনাইটেড ইন্ডিয়া মুনাফা করেছে ৩৫৬ কোটি রুপি এবং ওরিয়েন্টাল মুনাফা করেছে ৩৩৫ কোটি রুপি।
আরেক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স নেট মুনাফা করেছে ১২৮ কোটি রুপি। তবে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির সলভেন্সি রেশিও ছিল ১২৬ শতাংশ। যদিও নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্তমতে এই রেশিও’র পরিমাণ হতে হয় ১৫০ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে ইউনাইটেডের সলভেন্সি রেশিও ছিল ১৫৬ শতাংশ এবং ওরিয়েন্টালের সলভেন্সি রেশিও ছিল ১১৪ শতাংশ।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-লাইফ বীমা কোম্পানি নিউ ইন্ডিয়া অ্যাস্যুরেন্স’ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ হাজার ৮০৩ কোটি রুপি অবলিখন লোকসানের কারণে কোম্পানিটির ট্যাক্সসহ মুনাফার পরিমাণ ৫১৪ কোটি রুপিতে নেমে এসেছে। আগের বছরে এর পরিমাণ ছিল ৯২১ কোটি রুপি। কোম্পানিটি চলতি অর্থ বছরের প্রথমার্ধে ১১ হাজার ২০৪ কোটি রুপি প্রিমিয়াম সংগ্রহের তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
নিউ ইন্ডিয়া অ্যাস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি শ্রীনিভাসন বলেন, আমাদের কিছু অগ্নি বীমার দাবি এসেছিল যা ট্যাক্সসহ মুনাফার পতনে অবদান রেখেছে। তবে পরিস্থিতি এখন উন্নতি হচ্ছে। অর্থবছরের শেষ নাগাদ মিলিতি অনুপাত ১২০ থেকে ১১৫ তে নামিয়ে আনতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে অবলিখন মুনাফার প্রত্যাশা করছি, বলেন শ্রীনিভাসন।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি আইসিআইসিআই লোম্বার্ড ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত গত ৬ মাসে প্রকৃত মুনাফা করেছে ৩০২ কোটি রুপি। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। সেসময় আইসিআইসিআই লোম্বার্ড ট্যাক্সবাদে মুনাফা অর্জন করে ২৫৮ কোটি রুপি।