বীমা এজেন্টদের প্রশিক্ষণ : সংশোধনী আনতে যাচ্ছে আইডিআরএ

বীমা এজেন্টদের ৭২ ঘন্টা প্রশিক্ষণ বিষয়ে দেয়া সার্কুলার সংশোধন করতে যাচ্ছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ(আইডিআরএ)।প্রবিধান করার আগেই সার্কুলার জারি, ৭২ ঘন্টা বিষয়ে অস্পষ্টতা, সার্কুলার বাস্তবায়নের জন্য অত্যন্ত কম সময় দেয়াসহ আরও কিছু বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে সার্কুলার জারি করা হবে বলে জানিয়েছে আইডিআরএ সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্র জানায়, সংশোধীত সার্কুলারে বীমা এজেন্টদের প্রশিক্ষণ ৭২ ঘন্টার পরিবর্তে ৩ দিনের করা হবে। এ ছাড়া এ সিদ্ধান্ত ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারী থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি। আইডিআরএ ৭ ডিসেম্বর বীমা আইন ২০১০ এর ১২৪(৪) ধারা ও জাতীয় বীমা নীতি -২০১৪ এর ১.৪.২ অনুচ্ছেদের বরাতে এজেন্ট লাইসেন্স পেতে ৭২ ঘন্টার প্রশিক্ষণ নেয়ার নির্দেশ দিয়ে সার্কুলার জারি করে। এতে বর্তমানে ব্যবসায়  নিয়োজিত এজেন্ট এবং ফিনান্সিয়্যাল অ্যাসোসিয়েটদেরকেও এ প্রশিক্ষণ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ১ জানুয়ারি থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানায় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। এ প্রজ্ঞাপন জারির পর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় দেশের বীমা খাতে। বীমা এজেন্টের জন্য ৭২ ঘন্টা প্রশিক্ষণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বীমা বিশেষজ্ঞরা।  ৭২ ঘন্টা  বলতে ৩ দিন নাকি ৭২ কর্মঘন্টা তা স্পষ্ট না থাকায় ধুম্রজাল রয়েছে বলেও জানান তারা।  আইনের বিধান অনুসারে প্রবিধি না করে এ সার্কুলার জারি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে সার্কুলারটির আইনগত ভিত্তি নেই বলেও যুক্তি আসে বীমা সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে। পাশাপাশি আইডিআরএ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত পছন্দের এক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তড়িঘড়ি করে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে, এমন অভিযোগও ওঠে। আইডিআরএ’র এ সার্কুলারটি স্থগিত করতে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথাও ওঠে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। বীমা সংশ্লিষ্টদের এ আলোচনার মধ্যেই নিজের অবস্থান নেয় আইডিআরএ। এ ব্যপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না, আইডিআরএ এমন শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বীমা শিল্পের উন্নয়নে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বীমা ব্যবসায় নিয়োজিত সকল এজেন্টকে বীমা ব্যবসা আহরণের নিমিত্তে লাইসেন্স সংগ্রহ  কিংবা নবায়ন করার পূর্বে  কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে বীমা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এ প্রশিক্ষণের বিষয়টি নিশ্চত করবেন কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকেই  প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ এজেন্ট হিসেবে লাইসেন্স দেয়ার অনুরোধ করতে পারবে কোম্পানি। তারিখ-৭- ফেব্রুয়ারি-২০১৪