বীমাখাতে বিদেশি বিনিয়োগ সীমা ৪৯% করল ভারত: অধ্যাদেশ জারি

ভারতের বীমাশিল্পে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব অনেক ঘটনার পর বাস্তবায়িত হচ্ছে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে । ২৬ ডিসেম্বর দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রণব মূখার্জ্জি ইন্স্যুরেন্স আইন (সংশোধনী)এ সম্মতি দিয়ে এক অধ্যাদেশ স্বাক্ষর করেন। এ সংশোধীত বীমা আইনে ভারতের বীমাখাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সীমা ২৬% থেকে বাড়িয়ে ৪৯% করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। ২০০৮ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় থাকতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। ভারতীয় পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার এক দিন পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ইন্স্যুরেন্স বিলের অধ্যাদেশটি অনুমোদন দেয়। মোদি সরকার বিলটি আইনসভার নিম্মকক্ষ লোকসভায় পাশ করানোর পর উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাশ করাতে চেষ্টা করে। কিন্তু এখানে সরকারি দলের সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি আটকে দেয় বিরোধী দলের সদস্যরা। এরপর ইন্স্যুরেন্স অ্যামেন্ডমেন্ট আইন বিলটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে কার্যকর করার উদ্যোগ নেয় মোদি সরকার। অধ্যাদেশের খসড়া তৈরী করে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। বিদেশি বিনিয়োগ সীমা বাড়িয়ে ২৬% থেকে ৪৯% করায় দেশটির বীমাখাতে ৬ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে বলে প্রত্যাশা করছে সরকার। বর্তমানে দেশটিতে ৫২ টি বেসরকারি বীমা কোম্পানি ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ২৪ টি জীবন বীমা আর ২৮টি সাধারণ বীমা খাতের। বীমাশিল্পে বর্তমানে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রায় ৩৫,০০০ কোটি রুপি। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি অধ্যাদেশ সম্পর্কে বলেছেন, যদি বিলটি পাশ হওয়ার আগে বাদ পরা কোন সিদ্ধান্তও অধ্যাদেশটি কার্যকর সময় গৃহীত হয়ে থাকে তাও আইনগতভাবে কার্যকর হবে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়া হলেও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এটাকে সতর্কতার সঙ্গেই গ্রহণ করবে। কারণ যে কোন অধ্যাদেশ পরবর্তী পার্লামেন্ট অধিবেশনে তুলতে হয়। পরবর্তী অধিবেশনে পাশ করাতে ব্যর্থ হলে অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা হারায়। ভারতের সংবিধানে বলা আছে, প্রতি ৬ মাসে পার্লামেন্ট কমপক্ষে ১টি অধিবেশন বসবে। সে হিসেবে পার্লামেন্ট ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বসবে।এ অধ্যাদেশটি পার্লামেন্টের সেই অধিবেশনে অবশ্যই পাশ করিয়ে নিতে হবে। তারিখ-৭- ফেব্রুয়ারি-২০১৪