ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় প্রিমিয়াম বাড়াতে পারে ভারত। গত তিন বছরে ধারাবাহিকভাবে বীমা দাবি উত্থাপিত হওয়ার প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করছে কোম্পানিগুলো। বর্তমানে দেশের সকল এলাকায় একই হারে প্রিমিয়াম ধার্য করা হয়।
নিউ ইন্ডিয়া অ্যাস্যুরেন্স’র চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জি শ্রীনিবাসন বলেন, একই জায়গা থেকে গত দুই বছর ধারাবাহিকভাবে দাবি উত্থাপন নজিরবিহীন। এ কারণে পূর্বাঞ্চল ও নিচু এলাকার মধ্যে অবস্থিত কারখানাগুলিতে বেশি প্রিমিয়াম ধার্য করা হতে পারে।
আইসিআইসিআই লোম্বার্ড’র আন্ডাররাইটিং প্রধান সঞ্জয় দত্ত বলেন, পৃথকীকৃত প্রিমিয়াম ধার্য করতে আমাদেরকে অঞ্চল ও পুঞ্জীভূত ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে ঝুঁকি মডেলিং করতে হবে। তবে আমরা এখনো সেটা করিনি।
চেন্নাই ও তামিলনাডু অঞ্চলে ঘূর্ণিঝর ভরদায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে ১,০০০ কোটি রুপি দাবি উত্থাপিত হয়েছে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তরখণ্ডে বন্যায় প্রকৃতপক্ষে দাবির পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। এসময় ২,০০০ কোটি রুপিতে দাঁড়ায় বীমা দাবি। এরআগে ২০১৫ সালে চেন্নাইয়ে বন্যার ফলে ৫,০০০ কোটি রুপি বীমা দাবি উত্থাপিত হয়।
সুইস রি’র সর্বশেষ সিগমা গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, চেন্নাইয়ে বন্যার কারণে বীমাখাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ছিল ভারতের বীমাখাতে দ্বিতীয় বৃহৎ ঘটনা।
২০১৫ সালে প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট বিপর্যয়ে ভারতে সর্বমোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে বীমাখাতে লোকসানের পরিমাণ ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালে এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৯৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিগত বছর প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট বিপর্যয়ে ভারতে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার ৮৪ শতাংশই ছিল বীমার আওতার বাইরে। এদিকে বন্যার পর বেশিরভাগ বীমা দাবি এসেছে অগ্নি ও মটর পলিসি থেকে। ভারী বৃষ্টিতে গ্রামাঞ্চলে বন্যা বৃদ্ধির বিষয়টি এসব বীমা দাবিতে উঠে এসেছে।
নভেম্বরে চেন্নাইয়ে মারাত্মক আকস্মিক বন্যা ছিল বৃহত্তম দুর্যোগ। এই বন্যায় আনুমানিক ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় বীমা কোম্পানিগুলো সাইক্লোন, বন্যা বা ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতির অর্থ প্রদানে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় তহবিল গঠনের কাজ করছে। (সূত্র: ইটি)