বিশ্বব্যাপী বিপর্যয়ে লোকসান বেড়েছে বীমাখাতে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে বীমাখাতে লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছর বীমা কোম্পানিগুলোর লোকসান হয়েছে ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে এই লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোকসান বেড়েছে। সম্প্রতি সুইস রি এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।

সুইস রি’র প্রধান অর্থনীতিবিদ কার্ট কার্ল বিশ্বব্যাপী বিপর্যয়ের বিষয়ে বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকির বিপরীতে সমাজে অপর্যাপ্ত বীমা কভারেজ রয়েছে। এই সুরক্ষা ঘাটতি বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে মোট ১৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক লোকসান হয়েছে। একইসঙ্গে ১০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানী হয়েছে। এরমধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতি হয়েছে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যাতে বীমা কোম্পানিগুলোর লোকসান হয়েছে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে বিশ্বজুড়ে লোকসান হয়েছে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সুইস রি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি প্রানঘাতী প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছিল হারিকেন ম্যাথু। এর আঘাতে হাইতির ৭৩৩ জন জীবন হারিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে জাপানে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক লোকসান হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র এক-চতুর্থাংশের বীমা কভারেজ ছিল।

এরআগে ২০১৫ সালে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে বীমা কোম্পানিগুলোর লোকসান হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এই লোকসানের পরিমাণ তার আগের বছরের তুলনায় অনেক কম ছিল। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিগত এক দশকে বীমাখাতে বছরে গড়ে ৬২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে সুইস রি’র ২০১৫ সালের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে বিশ্বজুড়ে ৩৫৩টি বিপর্যয়ের ঘটনায় ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ১৯৮টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে ৮০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১৪ সালে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে আর্থিক লোকসান হয়েছিল ১১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।