নিজস্ব প্রতিবেদক: অবসর জীবনের গ্রাহকের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেনশন বীমা স্কিমকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বেসরকারি বীমা কোম্পানি বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এই বীমা সুবিধা গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে বিশেষ কর্মতৎপরতা শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এই পলিসির মাধ্যমে একজন গ্রাহক আজীবন পেনশন পাবেন। যদি ১০০ বছরও বেঁচে থাকেন। আর পেনশনের পরিমানও হয় গ্রাহকের পছন্দ মতো।তবে গ্রাহকের মৃত্যুতে ১০ বছর পেনশন পাওয়া যায়। সেটা হোক ১ কিস্তি প্রিমিয়াম দেয়ার পর অথবা পেনশন শুরুর পর। অবসর জীবনের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমনটাই সুবিধা দিচ্ছে বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পেনশন বীমা।
৫০ থেকে ৬০ বছরের যে কোনো বয়সকে নির্বাচন করা যাবে অবসরের সময় হিসেবে। এ ক্ষেত্রে পলিসি শুরুর বয়স থেকে পেনশন শুরুর বয়সের পার্থক্যটাই বীমার মেয়াদ হিসেবে গণ্য হবে। আর বীমা গ্রহীতার বয়স হবে ২০ থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত।
পেনশন বীমায় বীমা গ্রহীতা তার চাহিদা অনুযায়ি পেনশন নির্ধারণ করতে পারেন। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি অবসর গ্রহণের সময থেকে পেনশন হিসেবে কত টাকা পেতে চান তার উপর ভিত্তি করেই বীমা অংক ও মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
এই বীমায় গ্রাহককে আজীবন পেনশনের টাকা পরিশোধ করা হয়। তবে গ্রাহক চাইলে বার্র্ষিক পেনশনের সর্বোচ্চ ৫০% পেনশন শুরু থেকে অথবা পেনশন শুরুর এক বছরের মধ্যে তুলে নিতে পারবেন। বাকি ৫০ শতাংশ টাকা পেনশন হিসেবে বার্ষিক বা মাসিক ভিত্তিতে তুলে নিতে পারবেন।
পেনশন বীমায় গ্রাহক ২ বছর প্রিমিয়াম দেয়ার পর কোনো কারণে প্রিমিয়াম দিতে না পারলে মেয়াদ শেষে আনুপাতিকহারে পেনশন পাবেন। বীমার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অর্থাৎ একটি প্রিমিয়াম দেয়ার পরেও যদি গ্রাহক মারা যান তাহলে বীমা গ্রাহকের নমিনিকে বার্ষিক পেনশনের ১০ গুণ টাকা পরিশোধ করা হয়। এই টাকা নমিনি ইচ্ছা করলে বার্ষিক পেনশন আকারেও নিতে পারেন।
অন্যদিকে পেনশন শুরুর পরে বীমা গ্রহীতা মারা গেলে পেনশনের মেয়াদ ধরা হয় পেনশন শুরু থেকে ১০ বছর। অর্থাৎ এই ১০ বছরের মধ্যে যে সময়ে মারা যাবেন তা থেকে বাকি সময়ের জন্য নমিনি পেমশন পাবেন। আর গ্রাহক বেঁচে থাকলে পেনশন পাবেন আজীবন।
পেনশন স্কিমটি সম্পর্কে বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের দেশে বীমা সম্পর্কে ধারণাটি ভালো না। অথচ পেনশন বীমা স্কিমটি গ্রাহককে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়। তিনি আরো বলেন, পেনশন পলিসিটি নেয়ার উত্তম সময় ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়স। এর কারণ একজন গ্রাহকের বয়স যদি ৩৫ বছর হয়, আর সে যদি ৫০ বছর বয়স থেকে পেনশন পেতে চায় তাহলে তার বীমার মেয়াদ হবে ১৫ বছর।
পেনশন বীমার সুবিধা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন যার বয়স ৩০ বছর সে যদি ৫০ বছর বয়সে গিয়ে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা পেনশন পেতে চায় তাহলে তাকে প্রতি বছরে প্রিমিয়াম দিতে হবে ১৮ হাজার ৮৮৮ টাকা। তার বীমার মেয়াদ হবে ২০ বছর। অর্থাৎ বীমার মেয়াদ পর্যন্ত তাকে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হবে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬০ টাকা।
অথচ একটা কিস্তি দেয়ার পর যদি গ্রাহক কোনো কারণে মারা যান তাহলে সে পাচ্ছেন পেনশনের ১০ গুণ অর্থাৎ তার মাসে পেনশন ৫ হাজার হিসাব করলে বছরে হয় ৬০ হাজার। তাহলে বার্ষিক প্রিমিয়ামের ১০ গুণ হলে সে পাবে ৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে গ্রাহক যদি ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে তাহলে বাকি ৫০ বছর তিনি পাবেন প্রতি মাসে পাবেন ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৩০ লাখ টাকা। তাই আমাদের কোম্পানির পেনশন বীমা পলিসিটি মারা গেলে নয় বাঁচলে লাভ। তবে গ্রাহককে এ পলিসিটি নিতে হলে অবশ্যই অবলিখন নীতিমালা মানতে হবে।