কল্যাণ চক্রবর্তী:
একজন জীবন বীমা গ্রাহক সব সময় মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বোধ করে। কেননা এই সঞ্চয়ের ফলে তিনি তার পরিবারের অনাকাঙ্খিত অর্থনৈতিক দুর্ঘটনায় চিন্তামুক্ত থাকেন। ফলে তিনি সাহসের সহিত সবকিছুকে মোকাবিলা করতে পারেন। এই জন্য বলা হয় যে, মানুষের জীবনের প্রয়োজনে জীবন বীমার প্রয়োজন। মানব জীবনে জীবন বীমার সুফলগুলি নিম্নরূপ:
১) একজন মানুষের মৃত্যুতে বা অকাল মৃত্যূতে জীবন বীমা তার পরিবারকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দান করে।
২) জীবন বীমায় একজন মানুষের বার্ধক্যের সময় মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করে তাকে পরনির্ভরশীলতার হাত থেকে রক্ষা করে।
৩) অসুস্থাতার কিংবা দুঘটনার কারণে একজন মানুষ উপার্জন ক্ষমতা হারালে জীবন বীমা তাকে মাসিক একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ভাতার ব্যবস্থা করে দু:শ্চিন্তা মুক্ত রাখে।
৪) কোন মানুষের বেকারত্বে তার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া, বিবাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মূলধনের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
৫) জীবন বীমা মানুষের জীবনে সঞ্চয়ের উৎসাহ গড়ে তোলে।
৬) জীবন বীমা একজন মানুষের মৃত্যুতে তার সম্পতি ও বাড়ি ঘর বাজেয়াপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে, তার উত্তরাধিকারীদের নিরাপত্তা বিধান করে।
জীবন বীমা শুধুমাত্র ব্যক্তির উপকার করেই ক্ষান্ত থাকে না। ইহা সমগ্র দেশ ও জাতীর কল্যাণ করে থাকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জীবন বীমার গুরুত্ব অত্যাধিক। জীবন বীমা দেশের শিল্পায়নে যথেষ্ট সাহায্য করে। কোন দেশের শিল্প বিপ্লবের উদ্ভাবিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জীবন বীমা লক্ষ লক্ষ টাকা সরবরাহ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
জীবন বীমা দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট অবদান রাখে। নগদ মূল্য অর্জনকারী কোন বীমাপত্রকে কোন ব্যবসায়ী অর্থনৈতিক সংকটকালে ঋণ সংগ্রহ করতে জামানত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। অধিকন্তু ঋণদানকারী স্বীয় টাকার নিরাপত্তার জন্য ঋণ গ্রহীতার জীবনের উপর জীবন বীমা ক্রয় করতে পারে।
এইভাবে জীবনে বীমা শুধুমাত্র বীমা গ্রাহীতাদের নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত সমগ্র জাতিকে সুদিনে এবং দুর্দিনে সেবা করে থাকে। সুতরাং জীবন বীমা এমনিভাবে অর্থনৈতিক সমাধানের সুনিশ্চিত ব্যবস্থা করে, ব্যক্তিকে করে স্বাবলম্বী, বৃদ্ধকে করে মুখময় এবং মৃত্যুকে করে মহীয়ান।
লেখক: সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানি লিমিটেড’র এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অ্যান্ড সিএফও।