নিজস্ব প্রতিবেদক: তামাদি হয়ে যাওয়া পলিসি আবার চালু করার সুযোগ পাচ্ছেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকরা। এ সুযোগ পাওয়া যাবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা নির্ধারিত হারে ফি দিয়ে তাদের তামাদি হয়ে যাওয়া পলিসি আবারও চালু করতে পারবেন। নতুন করে চালু করা পলিসিতে পূর্বের সকল সুবিধাই বহাল থাকবে। সম্প্রতি গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে এ ঘোষণা দিয়েছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলোর তথ্যানুসারে, ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রাহকরা তামাদি পলিসি পুনরায় চালু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোন কোন কোম্পানি তামাদির মেয়াদ ১ বছর পর্যন্ত হলে বিলম্ব মাশুল মওকুফ করেছে। আবার কিছু কোম্পানি এই সময়সীমা রেখেছে ২ বছর পর্যন্ত। তবে ২-৫ বছর পর্যন্ত অর্ধেক বিলম্ব মাশুল মওকুফ করেছে কিছু কোম্পানি। অনেকে এর সীমা করেছে ৩-৫ বছর। আর তামাদির মেয়াদ ৬-৭ বছর পর্যন্ত হলে শর্ত সাপেক্ষে চালু করা যাবে।
তামাদি পলিসি চালুর সুবিধার মধ্যে রয়েছে, ঘোষিত বোনাস পাওয়া যাবে, আর্থিক লাভ ও সঞ্চয় নিশ্চিত এবং বীমা ঝুঁকি নিশ্চিত। এক্ষেত্রে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে তামাদি পলিসির সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম পরিশোধ করে ডিজিএইচ (DGH) দাখিলপূর্বক বা শর্ত সাপেক্ষে তা সচল করতে হবে। এজন্য পলিসি ডকুমেন্ট/পাশবই/প্রিমিয়াম রসিদসহ সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানিতে যোগাযোগ করতে হবে।
বীমা অংক ১০ লাখ টাকার কম হলে নন-মেডিকেল পলিসি হিসেবে ডাক্তারি পরীক্ষার কোন কাগজপত্র প্রয়োজন নেই। তবে ১০ লাখ টাকার ওপর বীমা অংক হলে মেডিকেল কাগজপত্র প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোম্পানির নিয়োগপ্রাপ্ত বা রেজিস্ট্রার্ড একজন ক্ষেত্রমতে দু’জন ডাক্তারের দ্বারা পূর্ণ মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।
এছাড়া মূত্র পরীক্ষার প্রতিবেদন, ইসিজি ১২ লিডযুক্ত, বুকের এক্সরে এবং রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টসমূহ দাখিল করতে হতে পারে। তবে পলিসি হোল্ডার স্বল্প শিক্ষিত মহিলা হলে উল্লেখিত ডকুমেন্ট ছাড়াও সঠিকভাবে ঝুঁকি নির্ণয়ের প্রয়োজনে অবলিখন বিভাগ যে কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষা/ রিপোর্ট তলব করতে পারে।
পরিকল্প পরিবর্তন, বিশেষ পদ্ধতিতে পুনর্বহাল এবং ডুপ্লিকেট পলিসির পুনর্লিখনের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে ১০ টাকা মাশুল দিতে হবে। এছাড়া বয়স প্রমাণ (প্রস্তাবপত্রে উল্লেখিত বয়সের চেয়ে প্রমাণিত বয়স কম/বেশি হলে), পরবর্তী মনোনয়ন, বীমা অংক, মেয়াদ ও কিস্তির পদ্ধতি পরিবর্তন, স্বত্বার্পণ এবং সহযোগী বীমা সংযোজন বা বিয়োজনের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে ৫ টাকা মাশুল দিতে হবে।