নিজস্ব প্রতিবেদক: শিশুর পড়ালেখা ও উপযুক্ত বয়সে বিবাহ সম্পন্ন করতে আর্থিক নিরাপত্তা দিতে ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি চালু করেছে চাইল্ড প্রোটেকশন প্ল্যান।এই বীমা পলিসির প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয় শিশুর পিতাকে। তবে শিশুর পিতা জীবিত না থাকে সেক্ষেত্রে শিশুর মা যদি শিক্ষিত হন এবং যথেষ্ট আয়-রোজগার থাকে তাহলে তিনিও প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবেন।
চাইল্ড প্রোটেকশন প্ল্যান গ্রহণের জন্য শিশুর সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ১৫ বছর। তবে পলিসির মেয়াদপূর্তির সময় শিশুর বয়স ৩০ বছরের বেশি হতে পারবে না।ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা বিকাশ’র মাধ্যমে ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এই শিশু নিরাপত্তা বীমার প্রিমিয়াম জমা দেয়া যায়।
চাইল্ড প্রোটেকশন প্ল্যানের গ্রাহক বা পলিসিহোল্ডার মারা গেলে সাথে সাথে প্রিমিয়াম প্রদান বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ তখন থেকে আর কোন প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয় না। এক্ষেত্রে মূল বীমা অংকের এক শতাংশ হারে প্রতিমাসে শিশুকে বৃত্তি প্রদান করা হয়, যা পলিসির মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত চালু থাকে। এছাড়া মেয়াদ শেষে বোনাসসহ সম্পূর্ণ বীমা অংক একসঙ্গে পরিশোধ করা হয়।
পলিসির মেয়াদপূর্তির আগেই যদি শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে নির্ধারিত হারে সুবিধা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে পলিসি চালুর ৬ মাসের মধ্যে শিশুর মৃত্যু হলে মূল বীমা অংকের ২৫ শতাংশ, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে শিশুর মৃত্যু হলে ৫০ শতাংশ, ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে শিশুর মৃত্যু হলে ৭৫ শতাংশ এবং ২৪ মাসের পরে শিশুর মৃত্যু হলে শতভাগ বীমা অংক প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে পলিসির মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত বীমা গ্রাহক ও শিশু জীবিত থাকলে সেক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে বোনাসসহ মূল বীমা অংশ পরিশোধযোগ্য। আর যদি পলিসি চলাকালে উভয়ের মৃত্যু হয় অর্থাৎ বীমা গ্রাহক ও শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে বৃত্তি চালু থাকলে তা বন্ধ হয়ে যায় এবং মেয়াদ শেষে বোনাসসহ মূল বীমা অংক পরিশোধ করা হয়।
শিশু নিরাপত্তা বীমার বিষয়ে ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) একেএম শরীফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে বীমা বিষয়ে সাধারণ মানুষ সচেতন নয়। অথচ প্রতিটি শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়েই বাবা-মা চিন্তিত থাকেন। শিশুর পড়াশোনাসহ ভবিষ্যত গড়তে শিশু নিরাপত্তা বীমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব দিক চিন্তা করেই আমরা পলিসিটি চালু করেছি।