সৈয়দ আব্দুল্লাহ জাবির:
জীবন বীমাকে বহুভাবে বর্ণনা করা যায়। এটি একটি বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ী ও আর্থিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জীবন বীমার মাধ্যমে সমাজের বহু মানুষের আর্থিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা সাধিত হয় বলে একে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Social security system) ও সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থা (Social welfare system) বলা যায়। কিন্তু আইনের দৃষ্টিভঙ্গীতে বিচার করলে জীবন বীমা একটি চুক্তি (Contract) ।
জীবন বীমা চুক্তির জন্য কমপক্ষে দুইটি পক্ষের প্রয়োজন হয়। জীবন বীমা চুক্তির দুইটি পক্ষ হল জীবন বীমা প্রস্তাবক (Life insurance proponent) ও জীবন বীমা কোম্পানী। চুক্তি সম্পাদনের পর জীবন বীমা প্রস্তাবক জীবন বীমা গ্রাহক (Life insurance policyholder) এ রূপান্তরিত হন।
যে কোন চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী চুক্তির দুই পক্ষকেই প্রয়োজনীয় তথ্যাদি উভয় পক্ষের কাছে পেশ করতে হয়। যেহেতু জীবন বীমা আর্থিক ঝুঁকি সংক্রান্ত একটি চুক্তি তাই বীমা প্রস্তাবককে তার প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি মৃত্যু ঝুঁকি ও বীমা ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্যাদি সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে প্রদান করতে হয়।
প্রথমত ও প্রধানত যে ডকুমেন্টের মাধমে জীবন বীমা প্রস্তাবক এই সকল তথ্যাদির বিবরণ প্রদান করেন তাকে জীবন বীমার প্রস্তাবপত্র (Proposal Form) বলে। এই প্রস্তাবপত্র ও এর সাথে দাখিলকৃত অন্যান্য ডকুমেন্ট যেমন: FMR ও অন্যান্য মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট, বয়স প্রমাণপত্র ইত্যাদি জীবন বীমা কোম্পানীর সাথে বীমা গ্রাহকের চুক্তির ভিত্তি হিসাবে গণ্য করা হয়।
জীবন বীমার প্রস্তাবপত্রে কোন ভুল/ মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হলে, এমনকি অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ না করা হলেও তা তথ্য গোপন করার সামিল হবে এবং বীমা চুক্তিটি বাতিল করার পূর্ণ অধিকার জীবন বীমা কোম্পানী সংরক্ষণ করবে। অতএব সঠিক ও যথাযথভাবে জীবন বীমা প্রস্তাবপত্র পূরণ করা জীবন বীমা গ্রাহকের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জীবন বীমা প্রস্তাবপত্র সম্পূর্ণ ও সঠিকভাবে পুরণ না করা হলে এবং পরবর্তীতে এই প্রস্তাবপত্রের উপর ভিত্তি করে ইস্যুকৃত পলিসির মৃত্যুদাবী বাতিল হওয়া ছাড়াও, পলিসি দলিল ইস্যু, নবায়ন প্রিমিয়াম জমা ও বিভিন্ন ধরনের দাবী পরিশোধের ক্ষেত্রে বিলম্ব ও জটিলতা দেখা দিতে পারে।
জীবন বীমা প্রস্তাবপত্র পূরণে করণীয় বিষয়াবলী:
১. প্রস্তাবপত্র পুরণের জন্য কালো কালি, একই কলম ব্যবহার করতে হবে। বিভিন্ন কালির ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। জেল পেন ব্যবহার করাও উচিত হবে না।
২. প্রস্তাবপত্র পুরণে ঘষামাজা, ওভাররাইটিং ও ফ্লুয়িড ব্যবহার করা যাবে না কোন অবস্থাতেই।
৩. যদি কোন কিছু কাটতে হয় তবে এক টানে তা কেটে পাশে/নীচে নতুন করে বিষয়টি লিখে নতুন লেখার পাশে প্রস্তাবকের স্বাক্ষর/ইনিশিয়াল নিয়ে নিতে হবে। তবে এরুপ দু/একটি সংশোধনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
৪. প্রস্তাবপত্রে সাংগঠনিক সেট আপের জায়গায় কোনরুপ কাটাকাটি, ঘষামাজা, ওভাররাইটিং গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সংগঠন প্রধানের/উন্নয়ন প্রশাসন/এজেন্সি সেকশনের কর্মকর্তার স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।
৫. প্রস্তাবপত্রে গ্রাহকের নামের সাথে প্রস্তাবপত্রের সাথে দাখিলকৃত তার বয়স প্রমাণপত্রের নামের সম্পূর্ণ মিল থাকতে হবে। বিষয়টি অবলিখন সিদ্ধান্ত প্রদান ও এফপিআর ইস্যুর জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি পরবর্তীতে সুষ্ঠভাবে সকল ধরনের দাবী নিষ্পত্তির জন্যও জরুরি।
৬. প্রস্তাবপত্র ও দাখিলকৃত বয়স প্রমাণপত্রে প্রস্তাবকের নামের ভিন্নতা থাকলে প্রস্তাবককে সাদা কাগজে একটি চিঠি লিখে বীমা কোম্পানিকে জানাতে হবে যে, বয়স প্রমাণপত্রে তার নাম ভুল উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবপত্রে উল্লেখিত তার নামই সঠিক ও ঐ নামটিই গ্রহণ করা হোক। উদাহরণস্বরুপ: একজন বীমা প্রস্তাবকের প্রকৃত নাম আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু দাখিলকৃত বয়স প্রমাণপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে আবুল কালাম। এক্ষেত্রে বীমা প্রস্তাবককে লিখিতভাবে বীমা কোম্পানিকে জানাতে হবে তার প্রকৃত নাম আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু ভুলক্রমে জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম আবুল কালাম হয়েছে। তাই প্রস্তাবপত্রে উল্লেখিত তার নাম আবুল কালাম আজাদকে সঠিক হিসাবে বিবেচনা করা হোক।
৭. অনুরুপভাবে দেখা যাচ্ছে অনেক সময় প্রস্তাবপত্রে উল্লেখিত প্রস্তাবকদের পিতা/মাতার নামের সাথে দাখিলকৃত বয়স প্রমাণপত্রে পিতা/মাতার নামের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। এক্ষেত্রেও বীমা প্রস্তাবককে লিখিত ঘোষণা দিতে হবে যে, প্রস্তাবপত্রে উল্লেখিত পিতা /মাতার নামই সঠিক।
৮. পেশার পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। চাকরি হলে চাকরির সুনির্দিষ্ট পদ, বিভাগের নাম যেমন: এভিপি (হিসাব) লিখতে হবে।
পেশা- ব্যবসা হলে ব্যবসার সুস্পষ্ট বিবরণ দিতে হবে। যেমন চালের কল, মাছের আড়ৎ, আমদানী, রপ্তানী। চাকরি দাতার/ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করতে হবে।
প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে অনেক সময় পেশার ঘরে লেখা হয় প্রবাসী। এক্ষেত্রেও পেশার পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে।
৯. পেশার পূর্ণ বিবরণ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবকের মাসিক সঠিক আয় সম্পর্কে ধারণা পেতে সহায়তা করে।
১০. প্রস্তাবকের এক/একাধিক উৎস হতে মোট মাসিক আয় কত তা উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন বোধে তার আয়ের উৎস সমূহের নাম উল্লেখ করে দিতে হবে পেশার জায়গায়। যেমন -চাকরি ও ব্যবসা।
১১. যোগাযোগের ও স্থায়ী ঠিকানা- বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণ ও সঠিকভাবে যোগাযোগের ও স্থায়ী ঠিকানা লেখা না হলে বীমা গ্রাহকের সাথে জীবন বীমা কোম্পানির যোগাযোগ বিঘ্নিত ও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
উদাহরণস্বরুপ- বীমা গ্রাহক প্রিমিয়াম নোটিশ না পেলে, নবায়ন প্রিমিয়াম জমা দিতে ভুলে যেতে পারেন কিংবা ল্যাপস নোটিশ না পেলে তার পলিসি পুনর্বহালের উদ্যোগ নিতে পারবেন না।
যোগাযোগের ঠিকানায় প্রস্তাবকের পিতা/স্বামীর নাম উল্লেখ করতে হবে। গ্রাম/প্রয়োজনবোধে পাড়া/মহল্লার নাম উল্লেখ করতে হবে। ডাকঘর কোডসহ উল্লেখ করতে হবে। এরপর থানা ও জেলা লিখতে হবে। প্রস্তাবকের বাসা শহরে হলে বাসার নম্বর, ফ্লাট নম্বর, ফ্লোর নম্বর, সেকশন/লেন নং, ব্লক নং, রোড নং এবং সর্বশেষ এলাকা ও শহরের নাম উল্লেখ করতে হবে।
১২. শিক্ষাগত যোগ্যতা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। যেমন এসএসসি/এইচএসসি/বিএ/ ৮ম / ৫ম শ্রেণী ইত্যাদি। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সেই অনুযায়ী দাখিলকৃত বয়স প্রমাণপত্রের উপর ভিত্তি করে অনেক সময় কম অবলিখন চাহিদায় বীমা ঝুঁকি গ্রহণ করা হয়।
১৩. অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে অভিভাবকের সাথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক নমিনীর সম্পর্ক উল্লেখ করতে হবে।
১৪. পলিসি অপশন- পলিসি অপশন নির্ধারণ করার সময় বীমা গ্রাহকের সচেতনতা আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নেয়া উচিত। বীমা প্রস্তাবককে প্রতিটি অপশনের সুবিধা, অসুবিধা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে।
১৫. প্রস্তাবকের, সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানিতে পূর্বে কোন পলিসি আছে কিনা তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। কেননা-
(ক) কোন প্রস্তাবকের কোন নির্দিষ্ট বীমা কোম্পানিতে পূর্বে এক/একাধিক পলিসি থাকলে ও পরবর্তীতে এক/একাধিক বীমা প্রস্তাব দাখিল করা হলে প্রত্যেকটি পলিসির/ বীমা প্রস্তাবের ঝুঁকি অংক যোগ করে সর্বমোট বীমা ঝুঁকি অংক নিরুপন করে তার উপর ভিত্তি করে অবলিখন চাহিদা নির্ধারণ করতে হয়।
(খ) কোন প্রস্তাবকের পূর্বের পলিসি চালু না থাকলে দাখিলকৃত নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় না।
(গ) পুর্বের পলিসি উল্লেখ না করে বীমা প্রস্তাবক নতুন পলিসি করলে পরবর্তীতে সর্বশেষ ইস্যুকৃত পলিসির মৃত্যুদাবী বাতিল বলে গণ্য হতে পারে।
(ঘ) এ ছাড়াও পুর্বের করা পলিসি/পলিসিসমূহের প্রিমিয়ামের সাথে দাখিলকৃত প্রস্তাব/প্রস্তাব সমূহের বিপরীতে ধার্য্যকৃত প্রিমিয়ামের মোট যোগফল প্রস্তাবকের আয়ের সাথে/ উদ্বৃত্তের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
১৬. প্রস্তাবকের সংশ্লিষ্ট বা অন্য কোম্পানিতে কোন বীমা প্রস্তাবপত্র বিবেচনাধীন আছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।
১৭. প্রস্তাবক কোন কোম্পানিতে বীমা প্রস্তাব দাখিল করলে ঐ কোম্পানি ছাড়া অন্য কোন কোম্পানিতে তার কোন পলিসি থাকলে বা একই সঙ্গে এক/একাধিক নতুন প্রস্তাব দাখিল করা হলে তাকে তা অবশ্যই বীমা কোম্পানিকে জানাতে হবে। এ সকল তথ্যাদি কোন ব্যক্তি তার আয়ের তুলনায় অনেক বেশি বীমা অংকের পলিসি গ্রহণ করে Over insurance এর মাধ্যমে নৈতিক ঝুঁকি (Moral Hazard) সৃষ্টি করেছে কিনা তা জানতে অবলিখকদের সহায়তা করে।
১৮. প্রস্তাবকের কোন জীবন বীমা প্রস্তাব অগ্রাহ্য /স্থগিত করা হয়েছে কিনা বা শর্ত আরোপ করে গৃহীত হয়েছে কিনা।
১৯. প্রস্তাবকের জীবনের উপর প্রতিকূল প্রভাবকারী কোন অতিরিক্ত ঝুঁকির তথ্য আছে কিনা তা জানাতে হবে।
২০. ডাক্তারী পরীক্ষাবিহীন জীবন বীমার জন্য অতিরিক্ত বিবৃতি:- প্রথম প্রশ্ন বাদে অন্য যে কোন প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হলে আলাদা কাগজে তার পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে।
২১. সাক্ষীর নাম এবং পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। সাক্ষী উন্নয়ন কর্মী হলে তার পদ ও কোড নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
২২. প্রস্তাবপত্রে সাক্ষীর অবশ্যই পূর্ণ স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে এবং স্বাক্ষরের নীচে তার পূর্ণ নাম লিখতে হবে।
২৩. মহিলা প্রস্তাবকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রশ্নমালা পূরণ:
বাংলাদেশে জীবন বীমা কোম্পানীগুলো মহিলাদের গর্ভাবস্থায় বীমা ঝুঁকি গ্রহণ করে না। স্বাভাবিক সন্তান জন্ম দানের ৩ (তিন) মাস পর ও সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মের ৪ (চার) মাস পর বীমা গ্রাহকের ভাল স্বাস্থ্যের ঘোষণা সাপেক্ষে জীবন বীমার প্রস্তাব বিবেচনা করা হয়। সর্বশেষ মাসিকের তারিখটি সঠিকভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন। এছাড়া মহিলা জীবনে নৈতিক ঝুঁকি পর্যালোচনার জন্য বিবাহিত স্বোপার্জিত আয়হীন মহিলাদের স্বামীর পেশা, মাসিক আয় ও তার (স্বামীর) জীবনের উপর চালু পলিসির তথ্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। এই সকল তথ্য স্বোপার্জিত আয়হীন মহিলা প্রস্তাবকের বীমা অংক ও প্রিমিয়াম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে।
২৪. টিপসই প্রদানকারী বীমাগ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য: টিপসই প্রদানকারী বীমা প্রস্তাবকদের ক্ষেত্রে প্রস্তাবপত্রে প্রস্তাবকদের স্বাক্ষরের স্থানে তার বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুলের টিপসই গ্রহণ করতে হবে। বুড়ো আঙ্গুলে এমনভাবে কালি লাগাতে হবে যেন আঙ্গুলির রেখাসমূহ ভালভাবে বুঝতে পারা যায় এবং প্রস্তাবপত্রে টিপসই যেন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। টিপসই উর্ধ্বতন উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। সত্যায়নকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষরের নীচে তার সীল থাকতে হবে।
প্রস্তাবপত্র সঠিকভাবে পূরণ না করা হলে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে:
১. অবলিখন সিদ্ধান্ত ও এফপিআর ইস্যুর কাজটি বিলম্ব হয়।
২. অবলিখন চাহিদা চেয়ে অবলিখন বিভাগকে চিঠি লিখতে হয় এতে বিভাগের কাজের চাপ বেড়ে যায়।
৩. উন্নয়ন কর্মকর্তার নতুন ব্যবসার সংগ্রহের গতি শ্লথ হয়ে পড়বে।
৪. ঝুঁকি গ্রহণে বিলম্ব হলে প্রস্তাবক অসন্তুষ্ট হন।
৫. এতে করে তার কাছে সংশ্লিষ্ট বীমা এজেন্ট ও জীবন বীমা কোম্পানীর ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়।
৬. উন্নয়ন কর্মকর্তা ও অবলিখন বিভাগের মধ্যে তিক্ততা ও সংঘাত সৃষ্টি হবে।
৭. পরবর্তীতে এফপিআর ও বীমা দলিল সংশোধন করতে হবে যাতে জটিলতা বাড়বে ও গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হবে।
৮. বিশেষত দাখিলকৃত প্রস্তাবপত্রের উপর ভিত্তি করে এফপিআর/দলিল গ্রাহকের নাম, নামের বানান, ঠিকানা ভুলভাবে লেখা হলে বীমাগ্রাহকেরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৯. প্রস্তাবপত্রে সঠিকভাবে পূরণ না করা হলে মৃত্যুদাবী বিলম্বিত হবে এমনকি প্রত্যাখ্যান করাও হতে পারে।
১০. মৃত্যুদাবী ছাড়াও সমর্পন মূল্য, সারভাইবাল বেনিফিট, মেয়াদপূর্তি দাবী, পলিসি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে জটিলতা ও বিলম্ব দেখা দিতে পারে।
লেখক: ইভিপি (অবলিখন ও রি-ইনসিওরেন্স), প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।