ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতে দূষণ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বীমা দাবির সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে দেশটিতে পানি দূষণ সংক্রান্ত বীমা দাবি বেড়েছে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ। আর বায়ু দূষণ সংক্রান্ত দাবির সংখ্যা বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ।
গড় বীমা দাবির আকার বছরে ২৫ হাজার রুপি বা ৩৬৫ মার্কিন ডলার থেকে ২৮ হাজার রুপিতে উঠানামা করে। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় বীমা কোম্পানি বাজাজ আলিয়াঞ্জ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স’র স্বাস্থ্য বীমার প্রধান অভিজিৎ ঘোষ। ।
শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানি ফিউচার জেনারেলি ইন্স্যুরেন্সে গত ৩ বছরে শ্বাসযন্ত্রের বা ফুসফুসের ব্যাধি সংক্রান্ত হসপিটালাইজেশন ক্লেইম ৪.৩ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইসিআইসিআই লোম্বার্ড জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতেও মূলত দূষিত পানি থেকে সৃষ্ট ব্যধি সংক্রান্ত বীমা দাবি বেড়েছে। রোগ-বালাই বৃদ্ধিতে দূষণই মূল ভূমিকা রাখছে। এসব রোগে হাসপাতালে ভর্তির হওয়ার কারণে গড় খরচও বেড়েছে।
২০১৫ সালে এই খরচের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৩৯১ রুপি। ২০১৬ সালে এসে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১০৪ রুপিতে। আইসিআইসিআই লোম্বার্ড জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের আন্ডাররাইটিং অ্যান্ড ক্লেইমস’র প্রধান সঞ্জয় দত্ত এসব কথা জানিয়েছেন।
এইচডিএফসি ইআরজিও জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের নির্বাহী পরিচালক মুকেশ কুমার বলেন, রোগের তীব্রতা এবং প্রকোপ হার বেড়ে গেছে। অনেক রোগ আছে যা আগে হাসপাতালে ভর্তি ছাড়াই চিকিৎসা করা যেতো এখন তার জন্য হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন হয়।
রয়াল সুন্দারাম জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের প্রধান পণ্য কর্মকর্তা নিখিল আপ্তে’র মত অনুসারে, জীবনধারা সংক্রান্ত রোগের চেয়ে সংক্রামক রোগের জন্য বীমা দাবি বেশি হয়।
কেন্দ্রিয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতের ৪১টি শহরে বাতাসের গুণমান খুবই খারাপ। এরসঙ্গে পানি দূষণ মিলিত হয়েছে, ফলে ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ভারতের অর্ধেকের বেশি নদ-নদী দূষিত হওয়ার প্রাথমিক কারণ হচ্ছে বর্ধিত মাত্রায় নিকাশী। (সূত্র: এআইআর)