ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: এবার ওমরাহ ও হজ পালনে ইচ্ছুক বিদেশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য বীমা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই শুরু করেছে দেশটির কাউন্সিল অব কো-অপারেটিভ হেলথ ইন্স্যুরেন্স (সিসিএইচআই) ।
সিসিএইচআই’র সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ আল হুসাইনের বরাত দিয়ে সৌদি গেজেট জানিয়েছে, ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স স্কিমের আওতায় ওমরাহ ও হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য বীমার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তবে আল হুসাইনের এই বক্তব্য আকস্মিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমানে কূটনৈতিক ও বিশেষ পাসপোর্টধারী, রাষ্ট্রীয় অতিথি এবং চিকিৎসার জন্য আসতে ভিসা প্রার্থীদের মতো হজ্জ, ওমরাহ যাত্রীদের স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন হয় না।২০০৪ সালে মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বীমার আওতার বাইরে রাখা হয়।
অন্যদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে সৌদি আরবে বসবাসকারী বিদেশিদের স্বজনরা দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা পলিসি থাকার বাধ্যবাধকতা কার্যকর করা হয়। স্বাস্থ্য বীমার পলিসি ছাড়া কোন ‘রেসিডেন্স পারমিট’ ইস্যু করা হবে না বলে নির্দেশনা জারি করে দেশটির পাসপোর্ট দপ্তর।
নির্দেশনা অনুসারে, সৌদিতে বসবাসকারী বিদেশির স্বজন সফরে এসে যতদিন দেশটিতে অবস্থান করবেন তার পুরো সময় ওই বীমা পলিসির আওতায় থাকতে হবে।ভিসা আবেদনের সময় ৭টি স্বীকৃত স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানি থেকে এই পলিসি নিতে হবে।
সৌদি আরবের আনুমানিক হিসাব মতে, ২০১৫ সালে দেশটিতে বিদেশি ভ্রমনকারির সংখ্যা ছিল ১৮ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৮০ লাখ। আগামী ২০২০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ২৫.৮ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৫৮ লাখে দাঁড়াতে পারে।