এদিকে রয়্যাল সুন্দরম অ্যালাইয়্যান্স ইন্স্যুন্সের প্রধান নির্বাহি মি. অজয় বিমভেট অবসরে চলে যাচ্ছেন। কোম্পানিটি এখনও তার উত্তরসূরি নিয়োগ দিতে পারেনি। অন্যদিকে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. চন্দ্রপ্রসাদ অবসরে চলে গেছেন।
ভারতের বীমাখাতের এ পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বহূজাতিক প্রফেশনাল সার্ভিস সংস্থা আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াঙ এর অংশীদার ও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের জাতীয় প্রধান মি. আবিজার দেওয়ানজি বলেন, আমরা কিছু পরিবর্তন দেখেছি। কয়েকটি চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
ভারত সরকার ইতোমধ্যে বীমাখাতে বিদেশি বিনিয়োগ সীমা ২৬% থেকে ৪৯% এ উঠিয়ে দিয়েছে। এখন এ খাতে বিনিয়োগকারীরা বর্ধিত রেভিন্যু ও লাভ এবং তাদের বিনিয়োগের উচ্চ মূল্যমান পেতে চাচ্ছে। এর ফলে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে প্রধান নির্বাহিদের ওপর।
এ প্রসঙ্গে আবিজার বলেন, কাজের ক্ষেত্রে চাপ বেড়েছে। দীর্ঘকাল ধরে মোটা অংকের বিনিয়োগ করেও কোম্পানির অংশীদাররা আশানুরূপ রিটার্ন পায়নি। যদিও বীমা খাতের এক বিশাল বাজার ভারত। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যার ৩% এরও কম বীমার আওতায় এসেছে। দেশটির জীবন বীমার ৪ ভাগের ৩ ভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা কোম্পানির দখলে। এমন এক বাজারে বেসরকারি বীমা কোম্পানির ব্যবসা করা বেশ কঠিন। এ ছাড়াও বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো শুধূমাত্র শহর এলাকায় ব্যবসা করায় এর বাজারও সীমিত হয়ে রয়েছে।
তারিখ: ১১ অক্টোবর, ২০১৪