সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই বীমা জরীপ ১৮ মাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আইডিআরএ
সরেজমিনে না গিয়েই বীমা পূর্ব জরীপ প্রতিবেদন দাখিল করেছে ৩ জরীপকারি। এদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এতে তার প্রতিকার চেয়ে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছে ১৮ মাস আগে। অথচ অদৃশ্য কারণে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সরেজমিন না গিয়েই বীমা পূর্ব জরীপ দাখিল করা এ তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- মেসার্স ইওথ এনার্জেটিক সার্ভেয়ার্স, মেসার্স রাফী এ্যাডজাস্টার্স ও মেসার্স ইকুইটি ইন্সপেকশন লিমিটেড।
তিন জরীপকারির দুর্নীতির বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন, সাধারণ বীমা করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার, মো. মোফাজ্জল হোসেন। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষর কাছে এ অভিযোগ করা হয় (সূত্র-সাবীক/ প্রকা/দায়/ ৭৬৭/ ২০১২, তারিখ-০৯-১২-১২)।
সাধারণ বীমা করপোরেশন ঢাকা জোনাল অফিসের আওতাধীন শাখা-৩,৪,৫ ও ১৩ থেকে ২০১১ সালে ৫টি অগ্নি সহবীমার বীমা পূর্ব জরীপের জন্য এ তিন জরীপকারিকে নিয়োগ দেয়া হয়।
পরিদর্শন ছাড়াই বীমা পূর্ব জরীপ প্রতিবেদন দেয়ায় বীমা গ্রাহক ও বীমাকারি প্রতিষ্ঠান উভয়ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অথচ অভিযুক্ত জরীপকারিরা অনায়াসে বিভিন্ন কোম্পানিতে জরীপের কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি স্টার্ন্ডান্ড গ্রুপের অগ্নিকা-ের ঘটনায় বীমা জরীপের জন্য স্টার্ন্ডান্ড ইন্স্যুরেন্স জরীপকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইওথ এনার্জেটিক সার্ভেয়ার্সকে নিয়োগ করে।
অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্ত ওই তিন জরীপকারির লাইসেন্স বাতিল হতে পারে বলে মনে করেন বীমা সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে জরীপকারিরা নির্বিঘেœ তাদের কর্মকা- চালিয়ে গেলেও একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে সময় সাধারণ বীমা করপোরেশনের ৫ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বহি:স্কার করা হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ বীমা করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব দুর্নীতি বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে বীমাকারি ও গ্রাহক উভয়ই লাভবান হতো। তার মতে, বীমা খাতের দুর্নীতি বন্ধ করতে আইডিআরকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করা উচিত।
তারিখ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪