এ বছর ১০০ কোটি টাকা বেশি প্রিমিয়াম আয় করবে পপুলার লাইফ

সুত্র মতে ২০১৩ সালে পপুলার লাইফ প্রিমিয়াম আয় করে ৬৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম বর্ষে প্রিমিয়াম আয় করে ১৫৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ও নবায়ন প্রিমিয়াম আয় করে ৪৮৫ কোটি টাকা। এ বছর ১০০ কোটি টাকা বেশি প্রিমিয়াম আয় করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারী খাতের এ বীমা কোম্পানিটি।

পরিকল্পনা তুলে ধরে ইউসুফ আলী বলেন, মাঠ পর্যায়ে এক ধরণের বিশৃংখলা রয়েছে। এর মধ্যেও আমরা খুব হিসেব করে চলছি। আমরা কারো পক্ষে বা বিপক্ষে নই। আমরা নিজের ঘর সামলাতে চাই। কে কি করলো তা নিয়েও আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। বীমার মার্কেটটি এখন প্রতিযোগিতার। আর এ প্রতিযোগিতায় আমরা সামনেই থাকবো।

নিজ কোম্পানির অবস্থান তুলে ধরে বলেন, নানা কারণে আমাদের ব্যবসা কমে গিয়েছিল। আমরা সে অবস্থা থেকে ইতোমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এ বছরে এখন পর্যন্ত ব্যবসায়িক অবস্থা খুবই ভালো। আমরা আশা করছি এ বছরে আগের বছরের তুলনায় ১০০ কোটি টাকা বেশি ব্যবসা করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের অবস্থা এখন ভালো। দেশ এখন অনেক স্থিতিশীল। এ অবস্থাটাকেই আমরা কাজে লাগাতে চাই। আর পিছে ফিরে তাকাতে চাই না। বীমাখাতে জনবল সংকটের প্রসঙ্গ ওঠলে এ বীমা নির্বাহি বলেন, সরকার নতুন বীমা কোম্পানির অনুমোদন দিয়েছে। এসব কোম্পানি নতুন এমপ্লয়ী সৃষ্টি করতে পারছে না। তারা পুরনো কোম্পানির জনবল নিয়ে কাজ করছে। ফলে আমার কোম্পানিতে যারা কমিশন ভিত্তিক কাজ করতো তারা নতুন কোম্পানিতে বড় পদে বেতনভুক্ত হচ্ছে। এর প্রভাব আমাদের ওপর পড়েছে। নতুন কোম্পানিগুলো নতুন জনবল সৃষ্টি করতে না পারলে তা ভবিষ্যতের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। আজ যে নিচের পদে কমিশন নিয়ে কাজ করছে, সেই কর্মকর্তা যদি রাতারাতি বড় পদে চাকরি পেয়ে যায় পরবর্তীতে সে আরো ভালো কাজ করবে এমনটা আশা করা যায় না। তাই নতুন কোম্পানিগুলোর প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে মনোযোগি হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

বীমা খাতের উন্নয়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থায় নতুন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে। সরকার ভালো মনে করেছে বলেই তাদের নিয়োগ দিয়েছে। আমরা মনে করি সদিচ্ছা নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করলে তারা অবশ্যই বীমা খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগের মেয়াদের তুলনায় এবারে আইডিআরএ অনেকটাই নিয়মাতান্ত্রিক উপায়ে চলছে বলে মনে করছি। এক্ষেত্রে কোনো ধরণের ইনটেনশন কাজ করছে বলে আমি মনে করছি না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, জীবন বীমা কোম্পানির ভ্যালুয়েশন নিয়ে শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে আইডিআরএ। এক্ষেত্রে সব কোম্পানিকেই ডাকা হয়েছে। সব কোম্পানির শুনানির পদ্ধতিও একই। এখানে পৃথক কোনো বিষয় নেই। এ ধরনের উদ্যোগ বীমা খাতের সচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।

বাজারে নতুন কোনো জীবন বীমা পণ্য আসছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন একটি পণ্য বাজারজাত করতে অনেক গুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয়। শুধু নতুন পণ্য আনলেই তো হবে না তা কতটা যুগোপযোগি তা মাথায় রাখতে হবে। তার চেয়েও বড় কথা আগে তো নিজেকে দাঁড়াতে হবে।

তারিখ: ১৫ জুলাই, ২০১৫