জীবন বীমায় কমিশন প্রথা পরিবর্তনের পরামর্শ

ডেস্ক রিপোর্ট: কমিশন ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউশন প্রথা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ইনস্টিটিউশন অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনজেডআইইআর) । নিউজিল্যান্ডের বাজার কাঠামো বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কমিশন প্রথা থেকে জীবন বীমা ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

‘রিসেটিং লাইফ ইন্স্যুরেন্স: অ্যানালাইসিস অব নিউজিল্যান্ড মার্কেট স্ট্রাকচার’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এনজেডআইইআর জানিয়েছে, গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ১৪টি প্রধান বীমা কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রিকারি দালাল এবং উপদেষ্টাদের কমিশন পরিশোধে প্রতি বছর সম্মিলিতভাবে ৪৩১ মিলিয়ন নিউজিল্যান্ড ডলার বা ২৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে।

জীবন বীমা কোম্পানি ‘সোভেরিন’ কমিশন বাবদ প্রতি বছর গড়ে যে পরিমাণ ব্যয় করে তা তাদের প্রিমিয়াম আয়ের প্রায় ২৩ শতাংশের সমান এবং তা মোট একুইজিশন ও ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের অর্ধেকেরও বেশি। নিউজিল্যান্ড ইনস্টিটিউশন অব ইকোনমিক রিসার্চের প্রতিবেদনের বরাদ দিয়ে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ইন্টারেস্ট ডট কো ডট এনজেড এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাজারে প্রবৃদ্ধির ঘাটটি থাকার পরও এই ব্যয়ের মাত্রা জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে স্বল্প খরচের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলগুলো চিহ্নিত এবং উন্নয়ন করতে একটি শক্তিশালী উৎসাহদায়কে পরিণত করেছে। তবে এই উৎসাহদায়কের শক্তি প্রতিটি কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউশন মডেল খরচের পার্থক্যের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানি ভেদে পরিবর্তিত হবে।

interest co nz 2016-05-25 17-15-40নিউজিল্যান্ড ইনস্টিটিউশন অব ইকোনমিক রিসার্চ দেশটির জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে কমিশন প্রথা থেকে সরে আসার পরামর্শ দিলেও এর পরিবর্তে কোন পদ্ধতি বা প্রথা অবলম্বন করা হবে সে বিষয়ে কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে আগামী ১ জুলাই নাগাদ নিউজিল্যান্ড সরকারের কমার্স অ্যান্ড কনজুমার্স অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশনা প্রদান করবে বলে জানা গেছে।

যেসব বীমা কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করে এনজেডআইইআর এই পরামর্শ দিয়েছে সেগুলো হলো- সোভেরিন, এএমপি লাইফ, এনএমএলএ (এএমপি), ওয়ান পথ লাইফ, আসটেরন লাইফ, ফিডেলিটি লাইফ, ওয়েস্টপ্যাক লাইফ, এআইএ, বিএনজেড লাইফ, সিআইজিএনএ লাইফ, পার্টনার্স লাইফ, হ্যানোভার রি লাইফ, কিউই ইন্স্যুরেন্স এবং পিনাকল লাইফ।